ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে—এটি এমন একটি চমৎকার ধারণা যা আপনার আয়কে এক নতুন মাত্রা দেবে। প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া নিয়ে ভাবছেন? এখানে রয়েছে কিছু অপ্রত্যাশিত এবং কার্যকরী পন্থা যা ঘরে বসে সহজেই আপনার আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনই এক নজরে দেখে নিন। 

ঘরে-বসে-প্যাসিভ-ইনকাম-করুন-৭টি-উপায়ে

আর আমরা জানি, আধুনিক জীবনে প্যাসিভ ইনকাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে আপনার সঠিক পরিকল্পনা এবং ধৈর্যের মাধ্যমে সফল হওয়া সম্ভব। নতুন প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া ও সম্ভাবনা খুঁজে পেতে এটি হবে আপনার সেরা পদপ্রদর্শক। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এবং উপভোগ করুন স্বাধীনতার অনুভূতি। আপনি কি কখনো ভেবেছেন কাজ না করেও টাকা উপার্জন করা যায়? ঘরে বসে, ঘুমিয়ে থাকাকালীন এমনকি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময়ও আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়তে পারে। যেখানে আপনি একবার কিছু সেটআপ করে রেখে দিলে তারপর নিয়মিত আয় হতে থাকে প্রায় বিনা পরিশ্রমে। 

বর্তমান যেহেতু ডিজিটাল যুগ, আপনি ঘরে বসে ইনকাম করার সুযোগ আগে চাইতে অনেক বেশি পাবেন। আজ আমরা আলোচনা করব এমন ৭ টি চমৎকার উপায় যা আপনাকে ঘুমের মধ্যেও টাকা উপার্জন করতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন, ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এবং শুরু করুন আপনার আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের পথ। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পণ্য প্রচারে কমিশন

Shopify- এর গবেষণা অনুযায়ী জানতে পারি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ২০২৫ সালে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রজেকশন রয়েছে। Amazon Associates, ClickBank, CJ Affiliate- ইত্যাদি এর মতো প্লাটফর্মে বাংলাদেশ থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্ভব। আপনি একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে উঠতে পারলে ঘরে মাসে $১০০-$৫০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

কার্যকরী কৌশল দেখে নিন


  • SEO অপটিমাইজড ব্লগ পোষ্টের প্রোডাক্ট রিভিউ অন্তর্ভুক্ত করুন। আরো সহজ ভাবে বললে আপনি যখন কোন একটি ব্লক পোস্ট তৈরি করেন এবং সেই পোস্টটি SEO এর জন্য অপটিমাইজ করবেন তখন সেই ব্লগ পোস্টের মধ্যে একটি প্রোডাক্ট রিভিউ অন্তর্ভুক্ত করবেন। যা পাঠকদের জন্য সহায়ক এবং তথ্য পূর্ণ হবে। 
  • ইউটিউব টিউটোরিয়াল এ এফিলেট লিংক এম্বেড করা। সহজ ভাষায় বললে আপনি যখন ইউটিউবের কোন টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করেন তখন ভিডিওটির বর্ণনা বা কমেন্ট সেকশনে আপনি একটি এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করেন। এটি হচ্ছে এমন লিঙ্ক যার মাধ্যমে আপনি যখন কোন পণ্য অথবা সেবা প্রমোট করেন এবং আপনার দেওয়া লিংক থেকে কেউ সেই পণ্য বা সেবা কিনে তখন আপনি তার ওপর একটি কমিশন পান। 
  • Pinterest এ ভিজুয়াল কমেন্ট শেয়ার করে ট্রাফিক জেনারেট করা। মানে হচ্ছে আপনি যখন Pinterest প্লাটফর্মে একটি ভিজুয়াল কনটেন্ট যেমন ছবি, গ্রাফিক্স এবং ইনফোগ্রাফিক্স শেয়ার করে সেটির কমেন্ট সেকশনে আপনার লিংক অথবা কনটেন্ট শেয়ার করেন। যাতে সে কনটেন্ট অথবা লিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ অথবা প্রোডাক্টে ট্রাফিক আহ্বান করা যায়। 

ব্লগিং আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং এর শক্তিকে কাজে লাগান

Web.com- এর তথ্য অনুযায়ী জানতে পারি ৬২% ব্যবসা ব্লগিং কে তাদের মার্কেটিং কৌশলের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত করে। WordPress ও Blogger প্ল্যাটফর্মে আপনি বিনামূল্যে ব্লক তৈরি করে মাসিক ১০০০ ভিজিটর থাকলে গুগল এডসেন্স থেকে  $১০০-$৩০০ ডলার উপার্জন করা সম্ভব।

কার্যকরী কিছু কৌশল দেখুন


  • Semrush কীওয়ার্ড টুল দিয়ে যেগুলো লো কম্পিটিশন কিওয়ার্ড রয়েছে সেগুলো বাছাই করুন।
  • Grammarly ব্যবহার করে আপনার কনটেন্ট এর মান নিশ্চিত করুন।
  • Email লিস্ট বিল্ড করার জন্য ConvertKit ব্যবহার করুন। সহজ ভাষায় বললে আপনি যদি আপনার ব্যবসা অথবা ব্লগের জন্য একটি শক্তিশালী এবং কার্যকরী ইমেইল লিস্ট তৈরি করতে চান তাহলে, ConvertKit নামক একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড (POD)

প্রিন্ট ডিমান্ডে আপনি টি শার্ট, মগ অথবা ব্যাগের মতো পণ্য নিজের ডিজাইন প্রিন্ট করে বিক্রি করেন। প্ল্যাটফর্ম গুলো প্রিন্টিং এবং শিপিং ব্যবস্থা করে। আপনি শুধু ডিজাইন এবং মার্কেটিং এর ফোকাস করবেন। এছাড়া আর কোন ঝামেলা নেই। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড শুরু করার ধাপ


  • Canva বা Adobe Illustrator ব্যবহার করে আপনি ট্রেন্ডি ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন। 
  • আপনি Printful, Teespring বা Redbubble- ইত্যাদি প্লাটফর্মে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং প্রতিটি প্লাটফর্মের প্রিন্টিং কোয়ালিটি এবং শিপিং খরচ যাচাই করুন। 
  • আপনার ডিজাইন যুক্ত করে পণ্যর মূল্য নির্ধারণ করুন এবং প্রতিযোগীদের দাম বিশ্লেষণ করে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য রাখার চেষ্টা করুন। 
  • Pinterest এবং Instagram-ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে গিয়ে ভিজুয়াল কনটেন্ট শেয়ার করুন। আপনি প্রথম অবস্থায় Limited Time Offer দিয়ে গ্রাহকদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করবেন।
  • কোন ডিজাইন বেশি বিক্রি হয় তা আপনাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং জনপ্রিয় ডিজাইনের ভেরিয়েশন তৈরি করে পোর্টফোলিও (মানে আপনি যে ডিজাইনগুলো তৈরি করেছেন তার সংগ্রহ বা প্রদর্শনীর মাধ্যমে এক জায়গায় করুন এবং আপনার ডিজাইন কাজের পরিধি আরো বাড়ানোর চেষ্টা করুন) বাড়াতে হবে। 

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করুন

EarnKaro ওয়েবসাইট - এর প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটিং ২০২৫ সালে ১৫.৭% CAGR (Compound Annual Growth Rate) এ বাড়ছে। বাংলাদেশী যারা ক্রিয়েটররা রয়েছে  Gumroad, Etsy, Sellfy- ইত্যাদিতে ই-বুক, টেমপ্লেট এবং ডিজাইন বিক্রি করতে পারবেন। গড়ে প্রতিটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট  $৫০-$২০০ মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন। 

প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট টিপস

  • Google Trends দিয়ে আপনি ট্রেন্ডিং টপিক্স চিহ্নিত করতে পারবেন।
  • Figma ব্যবহার করে আপনি প্রফেশনাল ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন
  • ConvertKit দিয়ে অটোমেটেড সেলস ফানেল বানানো যায়। সহজ ভাষায় বললে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি একটি স্বয়ংক্রিয় সেলস প্যানেল তৈরি করতে পারবেন যা আপনার পণ্য অথবা সেবার বিক্রি বাড়াতে সহায়তা করবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে সেলস ফানেল কি? বলে রাখি এটি একটি বিপণন কৌশল, যেখানে আপনি সম্ভাব্য গ্রাহকদের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিচালনা করেন। যার মাধ্যমে তারা ক্রেতায় পরিণত হয়। যেখানে গ্রাহক প্রথমে আপনার প্রস্তাবের সাথে পরিচিত হয়, তারপর তাদের আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং শেষে তারা পণ্য অথবা সেবা কিনতে প্রস্তুত হয়ে যায়। 

স্টক ফটোগ্রাফি এবং ছবির মাধ্যমে আয়

Shutterstock- এর ডেটা অনুযায়ী, 2025 সালে স্টক ইমেজ মার্কেটের বৃদ্ধি $৫.৬ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শহরে লাইফস্টাইল সম্পর্কিত ছবির বৈশ্বিক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার হন তাহলে মাসে ৫০-১০০ টি ছবি আপলোড করে $২০০-$১০০০ আয় করতে পারবেন।

কিছু কার্যকরী কৌশল দেখুন


  • Adobe Lightroom ব্যবহার করে ফটো এডিটিং করুন।
  • Keyword Tool দিয়ে SEO ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন।
  • এছাড়া স্থানীয় ইভেন্টে কভারেজ করে আপনি ইউনিট কনটেন্ট তৈরি করুন। 

ড্রপ শিপিং অথবা ইনভেন্টরি ছাড়া ই-কমার্স

Alibaba- রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ড্রপ শিপিং মার্কেটে $৫০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে উদ্যোক্তরা Shopify, WooCommerce ইত্যাদি ব্যবহার করে নিজস্ব ই-কমার্স স্টোর তৈরি করতে পারবেন এবং গড়ে ১৫-২০ % মার্জিনে (পণ্য বিক্রয় মূল্য এবং তার উৎপাদন বা ক্রয়ের খরচের মধ্যে পার্থক্য) পণ্য বিক্রি করা সম্ভব

অপটিমাইজেশন কৌশল দেখুন


  • Oberlo অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি পণ্য ইমপোর্ট করুন।
  • Facebook Pixel ইন্সটল করে টার্গেটেড অ্যাড প্রচার করতে পারবেন।
  • Trustpilot রিভিউ সংগ্রহ করে ক্রেডিবিলিটি বাড়ানো যায়। এটি একটি জনপ্রিয় অনলাইন রিভিউ সাইট যেখানে গ্রাহকরা পণ্য অথবা সেবা সম্পর্কে তাদের মতামত অথবা রেটিং শেয়ার করতে পারেন। আপনি এই প্লাটফর্মে আপনার পণ্য অথবা সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের কাছ থেকে রিভিউ সংগ্রহ করেছেন এবং এই রিভিউগুলো আপনার ব্যবসার বিষয়ে যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে

ক্যানভা টেমপ্লেট ডিজাইন বিক্রি

বর্তমানে এটি ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে সহজ এবং লো ইনভেস্টমেন্ট প্যাসিভ ইনকামের উপায়। আপনি যদি ২০২৫ সালের ক্যানভা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেখেন তাহলে ১৫০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং এর মার্কেটপ্লেসে মাসে 10 লাখের বেশি টেমপ্লেট বিক্রি হচ্ছে।

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন তবুও এই পদ্ধতি শুরু করতে পারবেন।আপনি ক্যানভায় প্রফেশনাল টেমপ্লেট ডিজাইন করে এগুলো অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রি করবেন এবং ক্রেতারা সেগুলো কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করবে। আর আপনি প্রতি বিক্রয় অথবা সাবস্ক্রিপশনে কমিশন পাবেন।

শুরু করার কিছু কার্যকরী উপায়


  • আপনি Canva Pro বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মাসের জন্য ৪৯ টাকায় পেয়ে যাবেন।
  • টেমপ্লেট সাইজ স্ট্যান্ডার্ড রাখুন (Instagram Post: 1080x1080px, Facebook Cover: 820x312px)
  • ক্যানভার প্রিমেড এলিমেন্ট ব্যবহার করুন Ramadan elements লিখুন।
  • কালার প্যালেট ৩-৪ চারটি রঙে সীমিত রাখুন।
  • এডিটেবল ফিল্ড যোগ করুন। (টেক্সট বক্সে "Your Name Here" লিখুন)।
  • এরপর আপনি ডাউনলোড অপশনে গিয়ে PNG বা PDF ফরমেটে সেভ করুন। 

৭ টি প্যাসিভ ইনকামের প্রাথমিক বিনিয়োগ এবং সুবিধা-অসুবিধা

পদ্ধতির নাম প্রাথমিক বিনিয়োগ সময় বিনিয়োগ দক্ষতা মাসিক আয় সম্ভাবনা (BDT) সুবিধা চ্যালেঞ্জ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ২,০০০-৫,০০০ ৬-১২ মাস SEO, কন্টেন্ট রাইটিং ১০,০০০ - ৫০,০০০+ স্কেলেবল, দীর্ঘমেয়াদী আয় ট্রাফিক তৈরিতে সময় লাগে
ব্লগিং ১,৫০০-৩,০০০ ৮-১৮ মাস রাইটিং, মার্কেটিং ৫,০০০ - ১,০০,০০০+ জ্ঞান শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম গুগল র‍্যাংকিংয়ে ধৈর্য প্রয়োজন
প্রিন্ট অন ডিমান্ড ৫০০-২,০০০ ১-৩ মাস গ্রাফিক ডিজাইন ৫,০০০ - ৩০,০০০ ইনভেন্টরি ঝামেলা নেই কম মার্জিন, প্রতিযোগিতা বেশি
ডিজিটাল প্রোডাক্ট ০-২,০০০ ১-২ মাস রিসার্চ, মার্কেটিং ১০,০০০ - ১,০০,০০০+ একবার তৈরি করে বহুবার বিক্রয় প্রডাক্ট কোয়ালিটি নিশ্চিত করা
স্টক ফটোগ্রাফি ১০,০০০+ (ক্যামেরা) ৩-৬ মাস ফটোগ্রাফি, এডিটিং ৫,০০০ - ২০,০০,০০০ ছবি আপলোড করলেই আয় মার্কেটে স্টক ছবির ফ্লাড
ড্রপশিপিং ৫,০০০-১০,০০০ ২-৪ মাস ই-কমার্স ম্যানেজমেন্ট ২০,০০,০০০ - ২,০০,০০০+ ইনভেন্টরি রিস্ক নেই গ্রাহক সেবার চাপ
ক্যানভা টেমপ্লেট ০-৫০০ ১-৪ সপ্তাহ ক্যানভা ব্যবহার ৫,০০০ - ২৫,০০০ নতুনদের জন্য সহজ, রিস্ক কম প্ল্যাটফর্ম কমিশন কাটে

গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ আপনি উপরে দেখতে পাচ্ছেন আয় সম্ভবনা গ্রাহক সংখ্যা, মার্কেটিং দক্ষতা এবং প্রোডাক্ট কোয়ালিটির উপর নির্ভরশীল। প্রথম ৩-৬ মাস আয় কম হলেও ধারাবাহিকতা রাখলে আপনার আয় আরো বাড়বে।

প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা আয় করার পাঁচটি অনলাইন উপায়

আজকের ডিজিটাল যুগে প্রতিদিন কিছু অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ আগে তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার ঘরে যদি নেট কানেকশন এবং একটি স্মার্ট ফোন অথবা কম্পিউটার থাকে তাহলে ঘরে বসে প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি চাকরি অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি এই অতিরিক্ত আয় আপনার অর্থনৈতিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে ঘরে বসে প্রতিদিন কিভাবে আপনি ২০০-৩০০ টাকা আয় করবেন তার সহজ কিছু উপায় দেখে নেওয়া যাক। 

মাইক্রো টাস্ক ওয়েবসাইট বা ছোট ছোট কাজ করে আয়

মাইক্রো টাস্ক হলো এমন ধরনের ছোট ছোট কাজ যা সম্পূর্ণ করতে সাধারণত আপনার কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে। এই কাজগুলো এত সহজে কোন বিশেষ দক্ষতা ছাড়াই আপনি অনায়াসে করতে পারবেন বিশ্বাসযোগ্য মাইক্রো টাস্ক প্ল্যাটফর্ম গুলো দেখে নেওয়া যাক। 

1. আমাজন মেকানিক্যাল টার্ক (MTurk): আমাজন পরিচালিত এই প্লাটফর্মে হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স টাস্কস নামে ছোট ছোট কাজ করা যায়।

2. ক্লিকওয়ার্কারঃ এখানে আপনি সট ডেসক্রিপশন লিখে, ডাটা ক্যাটাগরাইজিং, অডিও ট্রান্সক্রিপশন, ইমেজ ট্যাগিংয়ের মত কাজ পাওয়া যায়। শুরুতে ঘন্টায়  $৫-$১০ আয় করা যায়। 

3. আপেনঃ এটি একটি আর্টিফিশিয়াল এবং মেশিন লার্নিং সম্পর্কিত কাজের জন্য বিখ্যাত। এখানে ট্রান্সক্রিপশন, সার্চ ইঞ্জিন ইভালুয়েশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া এনালাইসিস করে ঘন্টায় $১০-$১৫ পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে কিছু কাজে ঘন্টায় আপনি $৩৬ পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে।

4. মাইক্রোওয়ার্কারসঃ এখানে ওয়েবসাইট টেস্টিং, অ্যাপ ডাউনলোড এবং ডাটা কালেকশন জাতীয় কাজ পাওয়া যায়। এখান থেকে ঘন্টায় ঘরে আপনি $৮ আয় করতে পারবেন। 

কিভাবে আপনি শুরু করবেন


  • সবার প্রথমে কাজ হল আপনার পছন্দের প্লাটফর্মে গিয়ে একাউন্ট খুলুন। এজন্য ইমেইল, ফোন নাম্বার দিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। 
  • আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করা হয়ে গেলে আপনার দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ভাষা দক্ষতা ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে। 
  • প্রথমে আপনি সহজ কাজগুলো করুন যেগুলো দ্রুত শেষ করা যায়। এতে করে আপনার রেটিং ভালো হবে।
  • এছাড়া আপনাকে নিয়মিত সক্রিয় থাকতে হবে। যত বেশি আপনি সক্রিয় থাকবেন এবং কাজ করবেন তত বেশি কাজ পাবেন এবং আপনার আয় বাড়বে। 
  • পেমেন্ট সেটআপ হিসেবে পেপাল, স্ক্রিল বা আপনার দেশের পেমেন্ট পদ্ধতি সেট করুন। 

কি ধরনের কাজ সেখানে করতে হয়


  • অনলাইন সাইটে অথবা সাইন আপ করা।
  • ডাটা ভেরিফিকেশন যেমন তথ্য সঠিকতা যাচাই করতে হবে।
  • অডিও রেকর্ডিং থেকে টেক্সট লিখতে হবে।
  • ছবি টকিং অথবা ক্যাটাগরাইজ করতে হবে।
  • পোস্ট অথবা কমেন্ট রিভিউ করতে হবে।
  • সাইট টেস্টিং করতে হবে।

আয়ের পরিমাণ কেমন

এ সমস্ত প্লাটফর্মে আপনি সাধারণত প্রতিটি কাজের জন্য কয়েক সেন্ট থেকে কয়েক ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট দেওয়া হয়। ঘন্টায় গড়ে ৩-১০ ডলার আয় করা সম্ভব। এছাড়া আপনি দৈনিক ১-২ ঘন্টা সময় দিলে২০০-৩০০ টাকা আয় করা যায়। আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আয়ও বাড়বে। 

অনলাইন সার্ভে অথবা মতামত দিয়ে আয় করুন

আপনি অনলাইন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে দৈনিক টাকা আয় করতে পারবেন। কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সম্পর্কে গ্রাহকদের মতামত জানানোর জন্য অনলাইন সার্ভে করে এবং এর জন্য অর্থ দিয়ে থাকে।

সেখানে আপনাকে কোন ধরনের সার্ভে করতে হয়


  • পণ্য অথবা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে।
  • রাজনীতি বা সামাজিক বিষয়ে মতামত প্রদান।
  • ওয়েবসাইট অথবা এর ব্যবহার করে ফিডব্যাক দিতে হবে।
  • ভিডিও দেখে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
  • শপিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হবে। 

আয়ের পরিমাণ কেমন হতে পারে

এখানে আপনি প্রতিটি সার্ভে সম্পন্ন করার জন্য ৫০ সেন্ট থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া সার্ভের জটিলতা এবং সময়ের ওপর এটি নির্ভর করে। দৈনিক ১-২ ঘন্টা সময় দিলে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।অনেকে নিয়মিত সার্ভে সম্পন্ন করে বছরে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে থাকেন। 

বিশ্বাসযোগ্য সার্ভে সাইট

১. সোয়াগবাকস (Swagbucks): এই সাইটে আপনি সার্ভে, ভিডিও দেখা, ওয়েব সার্চ এবং অনলাইন শপিং ইত্যাদি কাজ করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন ও পরে সেগুলো গিফট কার্ড বা পেপাল ক্যাশে রূপান্তর করা যায়। এখান থেকে আপনি ঘন্টায়  $২-$৫ আয় করা সম্ভব। 

২. সার্ভে জাঙ্কি (Survey Junkie): এটি একটি পুরনো এবং বিশ্বস্ত সার্ভে প্লাটফর্ম। এখানে আপনি প্রতি সার্ভে সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ৫০ সেন্ট থেকে ২-৩ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। 

৩. ট্রিয়াবা (Triaba):  এ প্লাটফর্মে আপনি প্রতিটি অনলাইন সার্ভে পূরণ করে $০.১৩ থেকে $২.২৫ পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এছাড়া বাংলাদেশের জন্য পেমেন্ট অপশন হিসেবে রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, টেলিটক ইত্যাদি মোবাইল রিচার্জ সুবিধা আপনার হাতে থাকে। 

৪. টোলুনা (Toluna): এটি একটি অনলাইন সার্ভে এবং মার্কেট রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সার্ভে অথবা রিসার্চ টাস্কে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের মতামত এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং কোম্পানির পণ্য অথবা পরিষেবার উন্নতিতে সহায়তা করতে পারে। ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস এবং মোবাইল অ্যাপ আছে। প্রতিটি সার্ভে পূরণ করে আপনি $১-$৫ আয় করতে পারবেন। 

কিভাবে আপনি শুরু করবেন


  • সবার প্রথমে আপনি একাধিক সার্ভে সাইটে রেজিস্ট্রেশন করুন। যতগুলো সম্ভব বিশ্বস্ত সার্ভিস সাইটের রেজিস্ট্রেশন করুন, তাহলে আপনি অনেক বেশি সার্ভে পাবেন।
  • প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন এবং আপনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন যাতে আপনার জন্য উপযুক্ত ছাড়বে খুঁজে পেতে সাইটগুলো সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ইমেইল চেক করুন এবং নতুন সার্ভারের জন্য নিয়মিত আপনার ইমেইল ইনবক্স চেক করুন।
  • সার্ভে শুরু করার আগে যোগ্যতা যাচাই করুন এবং অনেক সার্ভেতে আগে কিছু প্রশ্ন দেওয়া থাকে যোগ্যতা যাচাই করার জন্য। সেগুলো সত্যতার সাথে চেষ্টা করবেন উত্তর দেওয়ার।
  • সব সময় সার্ভে পাওয়া যায় না, সেজন্য আপনি ধৈর্য ধরে নিয়মিত প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সক্রিয় থাকুন। 

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে মাইক্রো-গিগস

ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ছোট ছোট কাজ নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এগুলোকে সাধারণত মাইক্রো গিগস বলা হয়। যা সম্পূর্ণ করতে বেশি সময় লাগে না এবং বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। 

কি ধরনের কাজ করতে হয়


  • সহজ গ্রাফিক্স ডিজাইন। বিশেষ করে আপনাকে লোগো অথবা ব্যানার বানাতে হবে।
  • ছোট ছোট লেখা। হতে পারে সেটি আর্টিকেল অথবা প্রোডাক্ট ডিস্ক্রিপশন।
  • ডাটা এন্ট্রি এবং ভিডিও অথবা ফটো এডিটিং।
  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা।
  • ওয়েব সাইট অথবা অ্যাপ পেস্টিং। 

আয় এর পরিমাণ কেমন

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি মাইক্রো গিগ থেকে আপনি $৫-$৫০ পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। দৈনিক ১-২ টি কাজ করলেই প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা আয় করা সম্ভব। 

বিশ্বাসযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম

১. ফাইবার  (Fiverr): এটি হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি নিজের রেট সেট করতে পারবেন। এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। তবে দক্ষতার উপর নির্ভর করে ঘন্টায় আপনি $১০-$৫০+ ইনকাম করা সম্ভব।

২. টাস্কর‍্যাবিট (TaskRabbit): এখানে আপনি মূলত মাইক্রোটাস্ক কাজ সম্পন্ন করবেন। এতে ঘন্টায় $১৫-$৪০ আয় করা সম্ভব।

৩. ট্রুল্যান্সার (Truelancer): বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব এখানে পাওয়া যায়। শুরুতে আপনি ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। 

৪. জিগবাকস (GigBucks): এটি হল উচ্চ পেমেন্ট মাইক্রো জব ওয়েবসাইট যেখান থেকে আপনি প্রতিটি কাজে ৪০০-৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে।

কাজটি কিভাবে শুরু করবেন


  • আপনি কোন কাজে ভালো তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। হতে পারে সেটি লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ডাটা এন্ট্রি।
  • আপনার নির্বাচিত প্লাটফর্মে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করুন। সেখানে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে রাখুন।
  • প্রথমে আপনি ছোট এবং সহজ কাজ দিয়ে শুরু করবেন। এতে করে আপনি ভালো রিভিউ পেতে শুরু করবেন।
  • কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাজের নমুনা সংরক্ষণ করে একটি পোর্টফোলি ও তৈরি করুন। আপনি নিয়মিত ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন।

ওয়েবসাইট টেস্টিং অথবা সাইট পরীক্ষা করে আয়

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ লঞ্চ করার আগে সেগুলো টেস্ট করানোর জন্য সাধারণত ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠায়। আপনি সেই ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার অভিজ্ঞতা জানালে টাকা পাবে। 

কি ধরনের কাজ করতে হয় সেখানে


  • ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে নাভিগেট (মানে হচ্ছে ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ এর মধ্যে ভ্রমণ বা চলাচল করার প্রক্রিয়া বোঝায়)। 
  • নির্দিষ্ট টাস্ক সম্পন্ন করে যেমনঃ কোন কিছু খোঁজা অথবা ফর্ম পূরণ করা।
  • ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে গিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানানো। 
  • ভয়েস রেকর্ডিং করে আপনার মতামত জানানো।
  • ওয়েবসাইটের ডিজাইন, নেভিগেশন, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে ফিডব্যাক দিতে হবে। 

আয়ের পরিমাণ কেমন হতে পারে

ওয়েবসাইট টেস্টিং করে আপনি প্রতি টেস্টে $১০-$৫০ পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। একটি টেস্ট সাধারণত ২০-৩০ মিনিট সময় নেয়। প্রতিদিন ১ টি টেস্ট করলেই প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা বা তার বেশি আয় করা সম্ভব। 

বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট টেস্টিং প্ল্যাটফর্ম

১. ইউজারটেস্টিং (UserTesting): এটি হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট টেস্টিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিটি টেস্টের জন্য $১০ পেতে পারেন এবং লাইভ কনভারসেশন টেস্টে $৩০-$১২০ পর্যন্ত আয় করা যায়। 

২. টেস্টবার্ডস (TestBirds): এই প্লাটফর্মে টেস্টার (মানে হল সেই ব্যক্তি যিনি কোন পণ্য, সফটওয়্যার অথবা অ্যাপ্লিকেশন পরীক্ষা করেন) হিসেবে কাজ করলে প্রতি প্রজেক্টে  €১০-€২০ টাকা আয় করা যায়। 

৩. ট্রাইমাইইউআই (TryMyUI): প্রতি টেস্টে আপনি $১০ আয় করতে পারবেন এবং টেস্ট শেষ করার ৭ দিনের মধ্যে পেমেন্ট করা যায়। 

৪. ইনটেলিজুস (IntelliZoom): এখানে আপনি প্রতিটি টেস্টে $৫-$১০ আয় করতে পারবেন এবং পেমেন্ট পেপাল দিয়ে করা যায়। 

কিভাবে শুরু করবেন


  • সবার প্রথমে আপনি আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট টেস্টিং প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলুন।
  • বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্মে নতুন টেস্টার হিসেবে একটি প্র্যাকটিস টেস্ট বা স্ক্রিনিং টেস্ট দিতে হয়। এটি ভালোভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন।
  • আপনার ডেমোগ্রাফি তথ্য, ডিভাইস, ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন যাতে আপনার জন্য উপযুক্ত টেস্ট পেতে পারেন। 
  • নোটিফিকেশন সেট করুন এবং নতুন টেস্ট এর জন্য ইমেইল বা অ্যাপ নোটিফিকেশন চালু রাখুন। টেস্ট গুলো দ্রুত ভরে যায় তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেসপন্ড করুন। 
  • টেস্ট করার সময় আপনার চিন্তাভাবনা স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করুন এবং সার্থক ফিডব্যাক দিন। এতে আপনার রেটিং ভালো হবে এবং আরো টেস্ট পাবেন। 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অথবা অনলাইন সহকারী হিসেবে কাজ

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ করে ঘরে বসেই আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি বর্তমানে খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। কাজের ধরনের কথা যদি বলি তাহলে ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার সিডিউলিং এবং ডাটা এন্ট্রি ও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। 

আয়ের পরিমাণ কেমন হতে পারে

এ কাজের জন্য আপনি ঘন্টা প্রতি $৫-$১৫ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে আপনি যদি দৈনিক ২ ঘন্টা কাজ করেন তাহলে ২০০-৩০০ টাকা আয় করা যায়। জনপ্রিয় কিছু প্ল্যাটফর্ম গুলো হল Upwork, Fiverr, Belay ইত্যাদি। এ ধরনের প্লাটফর্মে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ পাওয়া যায়। আপনি ছোট ছোট গিগ তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারেন এবং বিশেষভাবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টদের জন্য Belay প্ল্যাটফর্ম ডিজাইন করা হয়েছে।

কিভাবে শুরু করবেন


  • সবার প্রথমে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী প্রোফাইল তৈরি করুন।
  • ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করুন। 
  • ক্লায়েন্টের সাথে চেষ্টা করবেন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার।  

ব্যক্তিগত মতামতঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে বিষয়টি আমাকে বেশ আনন্দিত করে। প্যাসিভ ইনকাম হলো একটি চমৎকার মাধ্যম যা আপনার আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিতে পারে। এটি আপনার আয় বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিদিনের জীবনে আরও সময় ও স্বাধীনতা দেয়। বিশেষ করে যেসব পদ্ধতিতে কম ঝুঁকি ও সহজ প্রক্রিয়ায় আশা করা যায় সেগুলো আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় লাগে। আরোও দারুন ব্যাপার হলো এই মাধ্যমগুলোর বেশিরভাগই

ডিজিটাল প্লাটফর্মের সাহায্যে সম্ভব। সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং আপনার মধ্যে যদি স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে ঘরে বসে আয় করা এখন আর কোন কল্পনার বিষয় নয়। তাই আমি মনে করি, প্যাসিভ ইনকাম আমাদের জীবনের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাজে আসবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ইনশাল্লাহ পরবর্তী কোন আর্টিকেলে আবার কথা হবে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দোয়া রাখি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url