বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম - সময় আর টাকা বাঁচান
বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম জানেন কি? আপনি কি নবায়ন করা নিয়ে
চিন্তিত? সকল প্রকার জটিলতা সরিয়ে আমি জানাতে এসেছি সবচেয়ে সহজ উপায়। এই
সহজ এবং কার্যকরী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানলে আপনার সময় অনেক বেঁচে
যাবে।
আপনার বাইকের সুরক্ষা তখনই আপনার হাতে থাকবে যখন আপনি সঠিক দিকনির্দেশনা ফলো করবেন। সেজন্য যদি আপনি চান রাস্তায় নিশ্চিন্তে নামবেন, সকল প্রকার জরিমানা এড়িয়ে চলবেন এবং একজন রাজার মত রাইডিং করবেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনার বাইকের সুরক্ষা তখনই আপনার হাতে থাকবে যখন আপনি সঠিক দিকনির্দেশনা ফলো করবেন। সেজন্য যদি আপনি চান রাস্তায় নিশ্চিন্তে নামবেন, সকল প্রকার জরিমানা এড়িয়ে চলবেন এবং একজন রাজার মত রাইডিং করবেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম
- বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম
- ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ক্যালকুলেটর
- রুট পারমিট কি এবং রুট পারমিট নবায়নের আবেদন ফরম
- ব্যক্তিগত মতামতঃ বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম
বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম
বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম জানা আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্যর
অন্তর্ভুক্ত। আপনি যদি একজন বাইক লাভার হোন তাহলে অবশ্যই মোটরসাইকেল কে ভালবাসেন
তাই না? সেজন্য আপনাকে বাইক সচল রাখার পাশাপাশি সুরক্ষিত ও রাখতে হবে। সুরক্ষিত রাখার
জন্য বাইকের ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা অত্যন্ত জরুরী। একটিবার চিন্তা করুন
রাস্তায় যদি হঠাৎ কাগজপত্র দেখাতে হয় এবং ট্যাক্স টোকেনটি যদি না থাকে তাহলে কি
করবেন। সেজন্য সকল প্রকার ঝামেলা থেকে বাঁচতে এটি করা আবশ্যক। চলুন, বাইকের
ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
প্রথম ধাপ সঠিক সময়ে নবায়ন করুন
আপনার মোটর সাইকেলের ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই আপনি চেষ্টা করবেন তা নবায়নের জন্য। ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার উচিত নবায়ন করা।
দ্বিতীয় ধাপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন
মোটর সাইকেলের ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র
লাগবে। যেমনঃ
- আপনার মোটরসাইকেলের মূল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
- ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্মটি আপনি বিআরটি এ ওয়েবসাইট অথবা অফিসে পেয়ে যাবেন
- আপনি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করেছেন সেটি প্রমাণের জন্য অনুমোদন পত্র অথবা রসিদ থাকতে হবে। ব্যাংক ড্রাফট অথবা অনলাইন পেমেন্ট রসিদ।
- আপনার এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা যদি পাসপোর্ট থাকে সেটির ফটোকপি লাগবে
- আপনার ফিটনেস সার্টিফিকেট এর কপি লাগবে। এটি যদি প্রয়োজন হয় তাহলে
- ইনস্যুরেন্স সার্টিফিকেটের কপি লাগবে। এটি সাধারণত ঐচ্ছিক। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে
তৃতীয় ধাপ আবেদনপত্র ফরম পূরণ করুন
সবার প্রথমে আপনি বিআরটিএ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.brta.gov.bd থেকে ট্যাক্স
টোকেন নবায়নের আবেদনের ফর্ম ডাউনলোড করে নিন অথবা আপনি চাইলে অফিসে গিয়ে সংগ্রহ
করতে পারবেন। তারপর আপনি সঠিকভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করুন। ফর্মে আপনাকে যে সমস্ত
তথ্য দিতে হবে যেমনঃ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং
অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য। ফর্মটি আপনি বিআরটিএ ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি অফিসে গেলে পেয়ে যাবেন। আমার মতে
সরাসরি অফিসে যাওয়াটাই ভালো। বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ ফর্ম পর্যন্ত পৌঁছার
উপায় ধারাবাহিকভাবে দেখানো হলো।
প্রথম পদক্ষেপ দেখুন
সবার প্রথমে আপনাকে google এ গিয়ে BRTA Service Portal লিখে সার্চ
দিতে হবে। তারপর ওয়েবসাইটটি আসলে Login to your BSP Account ক্লিক করে আপনাকে
লগইন করতে হবে।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ দেখুন
আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে আপনাকে REGISTER এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে।
তৃতীয় পদক্ষেপ দেখুন
আপনার একাউন্ট থাকলে Please Click Here To BSP Portal এ ক্লিক করলে পরবর্তী
ধাপে আপনাকে নিয়ে যাবে।

চতুর্থ পদক্ষেপ দেখুন
নিচে স্ক্রিনশট এ হাতের বাম পাশে মোটরযান সংক্রান্ত অপশন এ ক্লিক করুন
এবং পরবর্তী অপশনে মোটরযান সংযুক্ত করুন অপশনে ক্লিক করুন।

পঞ্চম পদক্ষেপ দেখুন
পরবর্তী ধাপে আপনি যে স্ক্রিনশট দেখতে পাচ্ছেন সেখানে আপনার মোটরসাইকেল সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন দিতে হবে। সবগুলোসঠিকভাবে পূরণ করুন।
পরবর্তী ধাপে আপনি যে স্ক্রিনশট দেখতে পাচ্ছেন সেখানে আপনার মোটরসাইকেল সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন দিতে হবে। সবগুলোসঠিকভাবে পূরণ করুন।
চতুর্থ ধাপ আপনাকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে
ট্যাক্স টোকেন নবায়নের জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকার এর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি এর পরিমাণ আপনার মোটরসাইকেলের সিসি এবং ইঞ্জিন ক্ষমতা ও আপনি কেমন ব্যবহার করেন তার উপর নির্ভর করবে। আপনি ফি পরিশোধ করার জন্য নিচের উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
- ব্যাংক ড্রাফটঃ আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এর অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট করতে পারবেন।
- অনলাইন পেমেন্টঃ বর্তমানে আপনি কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে ও ফ্রি পরিশোধ করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে বিআরটিএ ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
কিভাবে ফি পরিশোধ করবেন দেখুন
প্রথম পদক্ষেপ দেখুন
এরপর আপনি নিচে কর্নারে সংযুক্ত নামে একটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন সেখানে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার একাউন্টের ভেতরে মোটরসাইকেল ট্যাগ অ্যাড হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ দেখুন
এখন আপনার কাজ হলো ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার জন্য Vehicle(s) Tax Token Expired
এর নিচের দিকে দেখুন বিস্তারিত অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।

তৃতীয় পদক্ষেপ দেখুন
এরপর আপনাকে নতুন ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে আপনি ট্যাক্স টোকেন রিনিউ এর
জন্য দুইটা পেমেন্ট করতে হবে। সবার প্রথমে আপনাকে ট্রাস্ট ভোটার সার্টিফিকেট ফি
পরিশোধ করার পাশাপাশি ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে হবে। এরপর ট্যাক্স টোকেন
নবায়ন অপশনে আপনি ক্লিক করলে নবায়ন ফি দেখতে পাবেন, যদি আপনার পেমেন্ট করা না
থাকে তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত ১১.৫০ পয়সা পেমেন্ট করতে হবে।
এখন আপনার কাজ হল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন অপশনে ক্লিক করা, তাহলে ফি জমা দিন অপশন চলে আসবে। ফি জমা দিন অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে ট্যাক্স বোর্ডের জন্য ১১৫০ টাকা যুক্ত হয়ে যাবে এবং পাশাপাশি আপনার মোট টাকার পরিমান হবে ৩৪৫০ টাকা। এটি আপনাকে ১০ বছরে একবার করতে হবে মানে পেমেন্ট। তারপর আপনি ফি জমা দিন অপশনে ক্লিক করুন
এখন আপনার কাজ হল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন অপশনে ক্লিক করা, তাহলে ফি জমা দিন অপশন চলে আসবে। ফি জমা দিন অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে ট্যাক্স বোর্ডের জন্য ১১৫০ টাকা যুক্ত হয়ে যাবে এবং পাশাপাশি আপনার মোট টাকার পরিমান হবে ৩৪৫০ টাকা। এটি আপনাকে ১০ বছরে একবার করতে হবে মানে পেমেন্ট। তারপর আপনি ফি জমা দিন অপশনে ক্লিক করুন

চতুর্থ পদক্ষেপ দেখুন
এখানে আপনি আপনার নিজস্ব ফোন নম্বর দেখতে পাবেন এবং আপনার চাহিদা অনুযায়ী
বিভিন্ন ভাবে পেমেন্ট করতে পারবেন। যেমনঃ DBBL Nexus Card, DBBL Master card,
DBBL Visa Card, Any Master Card, DBBL Mobile Banking, নগদ ইত্যাদি। যদি আপনার
মনে হয় আপনি নগদ দ্বারা পেমেন্ট করবেন তাহলে ৫১.৭৫ টাকা চার্জ দিতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে আপনি I Agree
অপশনে ক্লিক করুন।

পঞ্চম নম্বর পদক্ষেপ দেখুন
এখন আপনাকে ডেলিভারি ঠিকানা দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি আপনার ট্যাক্স টোকেন কোথায়
পাঠাবেন সেই ঠিকানা। নিচে যে তথ্যগুলো দেখছেন সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। এরপর
আপনি সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করার পর Submit অপশনে ক্লিক করুন। এরপর পরবর্তী পেজ
নিশ্চিত করতে নিশ্চিত অপশনে আপনি ক্লিক করুন। এরপর আপনার কাজ হল পেমেন্ট অপশন
নির্বাচন করা।
যদি চান নগদ পেমেন্ট করবেন তাহলে টাকার পরিমাণ বসিয়ে Proceed অপশন এ ক্লিক করুন এবং আপনার মোবাইল ফোনে ভেরিফিকেশন কোড নগদ কর্তৃক পাঠানো হবে। কোডটি আপনাকে বসিয়ে অতপর আবার Proceed অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনি নগদ একাউন্টের পিন নম্বর বসিয়ে আবার Proceed অপশনে ক্লিক করুন, এতে করে আপনার পেমেন্ট সফল হবে।
যদি চান নগদ পেমেন্ট করবেন তাহলে টাকার পরিমাণ বসিয়ে Proceed অপশন এ ক্লিক করুন এবং আপনার মোবাইল ফোনে ভেরিফিকেশন কোড নগদ কর্তৃক পাঠানো হবে। কোডটি আপনাকে বসিয়ে অতপর আবার Proceed অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনি নগদ একাউন্টের পিন নম্বর বসিয়ে আবার Proceed অপশনে ক্লিক করুন, এতে করে আপনার পেমেন্ট সফল হবে।

ষষ্ঠ নম্বর পদক্ষেপ দেখুন
আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে আপনি Your payment is successful.
Please click here এটি দেখতে পাবেন এবং দেখামাত্র ক্লিক করুন।

সপ্তম নম্বর পদক্ষেপ দেখুন
এখন আপনার সামনে প্রিন্ট রিসিভ অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করলে আপনি সেটি দেখতে
পারবেন এবং সেভ করে রাখতে পারবেন। এরপর আপনি যখন পূর্বের অবস্থায় মানে
মোটরযানে ফিরে যাবেন তখন দেখতে পাবেন আপনার ট্যাক্স টোকেন নবায়ন হয়ে গেছে।
তাছাড়া আপনি আরো কিছু বিষয় দেখতে পাবেন যেমন ট্যাক্স টোকেনের এক্সপায়ার ডেট
এবং ট্রাস্ট বোর্ডের সার্টিফিকেট এর পাশাপাশি আপনি ট্রাস্টবোর্ডের
সার্টিফিকেটের মেয়াদ ও দেখতে পাবেন।
পঞ্চম ধাপ আপনি বিআরটিএ অফিসে ফর্ম জমা দিন
আপনার আবেদন পত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফি পরিশোধের রশিদ আপনি আপনার নিকটে অবস্থিত রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি অফিসে গিয়ে কাউন্টারে জমা দিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ আপনি ট্যাক্স টোকেন সংগ্রহ করুন
যাবতীয় কাগজপত্র অফিসের জমা দেওয়ার পর অফিস কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র যাচাই করবে এবং যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনার ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করে দিবে। তারা মনে হয় একটি নির্দিষ্ট তারিখ দেয় আপনাকে সেই তারিখের মধ্যে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে।
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ক্যালকুলেটর
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি কারণ আমি যদি সহজ ভাষায় বলি তাহলে এটি
আপনার গাড়ির জন্য সরকারি অনুমোদনপত্র। আপনার গাড়ি রাস্তায় চলার জন্য আসলেই
উপযুক্ত কিনা এটি তার প্রমাণ। Motor Vehicle Ordinance ১৯৮৩ অনুযায়ী জানতে পারি
এই টোকেন নবায়ন করা আপনার এবং আমার জন্য বাধ্যতামূলক। হাতে সময় থাকতেই ট্যাক্স
টোকেন নবায়ন না করা হলে আপনার জরিমানা হতে পারে এবং আইনি জটিলতা ও সৃষ্টি হতে
পারে। চলুন, বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি কিভাবে হিসাব করবেন
- গাড়ির প্রকৃতিঃ এটি নির্ভর করবে আপনার গাড়ির উপর। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, জিপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক, বাস ইত্যাদির ওপর।
- মোটর ক্ষমতাঃ তাছাড়া আপনার গাড়ির ইঞ্জিন কত সিসির সেটির উপর নির্ভর ও করবে। আপনার ইঞ্জিনের ক্ষমতা যদি বেশি হয় তাহলে ফি আপনাকে বেশি দিতে হবে।
- গাড়ির ওজনঃ এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির ওজনও বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে যে সমস্ত ভারী যানবাহন গুলো আছে।
- আসনের সংখ্যাঃ যে সমস্ত গণপরিবহন অথবা যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে তাদের আসলের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে অনেক সময় ফি নির্ধারণ হয়ে থাকে।
গাড়ি ভিত্তিক ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি
- মোটরসাইকেলঃ মোটরসাইকেলে ১০০ সিসি পর্যন্ত এবং ১০০ সিসি এর ওপর আলাদা ফি প্রযোজ্য হবে। মোটরসাইকেল গুলোর ক্ষেত্রে বার্ষিক ফি কয়েকশো টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
- প্রাইভেট কার এবং জীপঃ ১৫০০ সিসি পর্যন্ত, ১৫০০ সিসি থেকে ২০০০ সিসি, ২০০০ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি, ২৫০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি, ৩০০০ সিসি আপনি এখন যে বিষয়টি দেখছেন এরকম বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য আলাদা ফি রয়েছে। এটি শুরু হতে পারে কয়েক হাজার টাকা থেকে ১০০০০ হাজার টাকা বা তারও বেশি।
- মাইক্রোবাসঃ মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে নির্ভর করবে আসন সংখ্যা এবং ইঞ্জিনের সিসির ওপর। এক্ষেত্রে ফি হতে পারে কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু।
- বাস/ট্রাকঃ বাস এবং ট্রাকের ক্ষেত্রে ওজন, প্রকারভেদ, এর আসনের সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর বিবেচনা করে ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেহেতু এগুলো অত্যন্ত ভারী যানবাহন তাদের ফি তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ারই কথা।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তথ্য পাওয়ার উপায়
আপনি সবার প্রথমে বিআরটিএ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। তারপর আপনার কাজ হল যানবাহন কর অথবা Tax Token অপশনটি খুঁজে বের করা। সেখানে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রকার গাড়ির ট্যাক্স এবং টোকেন ফি। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে বি আর টি এ ফি ক্যালকুলেটর স্ক্রিনশট আকারে দেওয়া হলো। প্রাইভেটকার এবং জীপ, মাইক্রোবাস, বাস এবং ট্রাক ও মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ক্যালকুলেটর নিচে দেখে নিন।
প্রথম পদক্ষেপে করণীয়

দ্বিতীয় পদক্ষেপ করণীয়
গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় মাথায় রাখুন
- ট্যাক্স টোকেন ফি এটি কিন্তু পরিবর্তনশীল তাই সর্বদা আপনি ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি বিআরটিএ অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নিবেন
- আপনি যখন ফি পরিশোধ করবেন অবশ্যই সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বৈধ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট রাখবেন
রুট পারমিট কি এবং রুট পারমিট নবায়নের আবেদন ফরম
রুট পারমিট কি? সহজ ভাষায় বলতে গেলে যে সমস্ত গণপরিবহন রয়েছে যেমন বাস,
মিনি বাস, মাইক্রোবাস ইত্যাদি এই সমস্ত যানবাহন চালানোর জন্য বিআরটিএ
কর্তৃপক্ষের অনুমতি পত্র প্রয়োজন। এই পারমিট ছাড়া আপনি যানবাহন চালাতে
পারবেন না। রুট পারমিট নিশ্চিত করবে একটি গাড়ি কোন রুটে চলবে এবং সেই রুটে
কতগুলো গাড়ি চলাচল করতে পারবে। নিচে রুট পারমিট নবায়নের আবেদন
ফরম লিঙ্ক দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ
রুট পারমিট নবায়নের আবেদন ফরম
রুট পারমিট নবায়নের আবেদন ফরম
ব্যক্তিগত মতামতঃ বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম
বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করার নিয়ম সম্পর্কে আশা করি আমার ক্ষুদ্র
জ্ঞান দ্বারা আপনাকে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। বাইকের ট্যাক্স টোকেন রিনিউ
মোটামুটি অনেকটা সহজ এবং এতে আপনার সময় বাঁচবে। আপনি যেমন নিজের প্রতি
খেয়াল রাখেন তেমনিভাবে আপনার উচিত বাইকের কেয়ারিং করার পাশাপাশি যথাসময়ে
ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা আপনার কর্তব্য। যাতে আপনি আইনি সমস্যায় না পড়েন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি ইনশাল্লাহ পরবর্তী কোন আর্টিকেলে আবার কথা হবে।
দোয়া রাখি সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং বাইক চালানোর ক্ষেত্রে
সতর্কতা থাকুন।
সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url