ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে - আপনার জন্য বিপজ্জনক

ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে? মুরগির ডিম খাওয়ার পর যদি আপনি এলার্জি অনুভব করেন তাহলে আপনি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এলার্জির প্রতি যদি গুরুত্ব না দেন তাহলে আপনার জীবননাশের সম্ভাবনা থাকতে পারে। ফার্মের মুরগির ডিমে এলার্জি আছে কিনা তা জানতে এবং যদি থাকে তাহলে আপনার শরীরের উপর এটির প্রভাব কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ফার্মের-মুরগির-ডিমে-কি-এলার্জি-আছে

আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি, হাঁস, মুরগি এবং কোয়েল পাখির ডিম খেলে আপনার শরীরে কেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এবং কারণ ,লক্ষণ ও এর থেকে বাঁচার উপায়। বৈজ্ঞানিক কারণগুলো জানতে এবং আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আজকের আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে

ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে

ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে? আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন তা জানেন না। ডিম খেলে যদি আপনার অ্যালার্জি হয় তাহলে এ নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না কারণ বর্তমান বিশ্বে এটি একটি সাধারণ সমস্যা। আপনি আপনার আশেপাশে খোঁজখবর নিলে জানতে পারবেন অনেক মানুষ আছেন যাদের এই সমস্যা রয়েছে। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ডিমের এলার্জির প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। এটির পিছনে মূল যে কারণ রয়েছে সেটি হল ডিমের প্রোটিন। চলুন, কিছু রিসার্চ এবং গবেষণা পত্র দেখে নেওয়া যাক ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে সে সম্পর্কে।

ডিম খেলে এলার্জি কেন হয় তার কারণ

Egg White অথবা আমরা যেটিকে ডিমের সাদা অংশ বলে থাকি এতে রয়েছে ওভালবিউমিন এবং ওভোমুকোয়েড নামক প্রোটিন যার কারনে সাধারণত এলার্জি হয়। অপরদিকে Egg Yolk যাকে আমরা বাংলা ভাষায় ডিমের কুসুম বলে থাকি এতে রয়েছে চিকেন সেরাম অ্যালবামিন এবং α-Livetin নামক এক ধরনের প্রোটিন। এই প্রোটিনের কারণে একজন মানুষের মধ্যে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

ডিমে এলার্জির পাশাপাশি মুরগির মাংসে ও কি এলার্জি থাকে

কিছু গবেষণা পত্র থেকে জানতে পারি একজন ব্যক্তি ডিমে এলার্জি অনুভবের পাশাপাশি মুরগির মাংসেও কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি অনুভব করতে পারেন। আপনি এমন অনেক মানুষ পাবেন যারা মুরগির মাংস খেলে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু ডিম খেলে সমস্যা হয়। অন্যদিকে পাখের ডিম খেলে আপনার যদি এলার্জি হয় তাহলে কিন্তু মুরগির ডিম খেতে পারেন। এর কারণ যদি বলি তাহলে দুটি ডিমের প্রোটিনে কিছুটা পার্থক্য দেখা যেতে পারে। অপরদিকে আপনার যদি পাখির ডিম অ্যালার্জি থাকে তাহলে মুরগির মাংসে অথবা ডিমে এলার্জি অনুভব করতে পারেন। তবে চিন্তার কারণ নেই সব ক্ষেত্রেই যে এরকম ঘটবে বিষয়টি কিন্তু এমন না। 

ডিমের এলার্জি নির্ণয় করুন এবং চিকিৎসা

আপনার ডিমে এলার্জি রয়েছে কিনা সেটি যাচাইয়ের জন্য শরীরের IgE (Immunoglobulin E) অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে একজন এলার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তির ডিম থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিশুদের ডিমে এলার্জি থাকলে ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে তা কমতে থাকে, এটি সাধারণত কিছু ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। বর্তমানে গুরুতর এলার্জির প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য এপিনেফ্রিন (Epinephrine) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পাখির ডিম এবং মুরগির ডিমের মধ্যে পার্থক্য

আপনার আশেপাশে খেয়াল করে দেখবেন অনেক মানুষের মুরগির ডিমে এলার্জি থাকে কিন্তু তারা যখন হাঁস অথবা অন্য পাখির ডিম গ্রহণ করে খুব একটা সমস্যা না হওয়ারই কথা। ক্ষেত্রবিশেষ পাখি-ডিম সিনড্রোম (Bird-Egg Syndrome) এক ধরনের এলার্জি অথবা অন্যান্য পাখির ডিমে ও এলার্জি থাকতে পারে।

ডিমে এলার্জি সম্পর্কে গবেষণামূলক তথ্য এ সম্পর্কে কি বলে

Cracking the Egg: Understanding Egg Hypersensitivity 2015 এই গবেষণা থেকে জানা যায়, ডিমের এলার্জি সাধারণত দুটি প্রোটিনের কারণে হয় Ovalbumin, Ovomucoid. ডিমের কুসুমের সাধারণত Chicken Serum Albumin প্রোটিন থাকার কারণে এলার্জি হতে পারে। 

An Insight into Egg Allergy 2007 এই গবেষণা থেকে জানা যায় কিছু ক্ষেত্রে কিছু মানুষের জন্য মুরগির মাংস খাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে, কিন্তু যারা শিশু রয়েছে কিছু ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। সাধারণত ডিমের এলার্জি চিকিৎসা এবং এর প্রবণতা কমানোর জন্য শরীরের IgE অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা প্রয়োজন পড়ে।

α-livetin in Egg Yolk and Its Role in Bird-Egg Syndrome 1994 গবেষণা থেকে জানা যায় দিনের কুসুমে অবস্থিত α-livetin প্রোটিন এর কারণে এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পাখির ডিমেও একই রকম এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

Diagnosis and Immunotherapy of Egg Allergy 2020 গবেষণা আমাদেরকে বলে যে, ডিমের মধ্যে যে এলার্জি রয়েছে সেটি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব। আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা থাকে তাহলেইমিউন থেরাপি এর মাধ্যমে অ্যালার্জি অনেকখানি কমানো সম্ভব হতে পারে।

Advances in the Diagnosis and Management of Egg Allergy 2010 গবেষণার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার কারণে এখন অনেক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে নতুন থেরাপি ব্যবহার করে ডিমের এলার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। 

PubMed -- Approaches to Diagnosing and Treating Egg Allergy লেখকঃ Dulashi Withanage Dona, Cenk Suphioglu তার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে ডিম খেলে মানুষের যে এলার্জি সৃষ্টি হয় সেটির কোন কার্যকর চিকিৎসা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তবে কিছু ইমিউনোথেরাপি (যেমন: ওরাল ইমিউনোথেরাপি ও সাবলিঙ্গুয়াল ইমিউনোথেরাপি) ইত্যাদি মাধ্যমে অনেকখানি এলার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় অথবা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। অ্যাবুমিন এবং লেসোথিন এই দুইটি প্রোটিন সাধারণত ডিমের সাদা অংশে পাওয়া যায় এবং এই দুইটি উপাদানকে অ্যালার্জির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

PubMed -- Effects of Heat Treatment Duration and Temperature on Egg White Protein Allergenicityলেখকঃ Meeyong Shin, Youngshin Han, Kangmo Ahn তার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী আপনার যদি ডিমে এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে ডিমের সাদা অংশ ৩০ মিনিট গরম পানিতে সিদ্ধ করা উচিত তাহলে এতে অবস্থিত এলার্জির সৃষ্টিকারী প্রোটিন এর মাত্রা বা প্রভাব কমে যায়।

Nature -- Quail Egg Homogenate as a Potential Therapy for Food Allergy-Related Eosinophilic Esophagitis লেখকঃ Priscilia Lianto, Shiwen Han, Xinrui Li গবেষণা থেকে আমি জানতে পারি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ফলে কিভাবে এলার্জি এর প্রতিক্রিয়া কমানো যায় সেটি পরীক্ষা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম খান সেক্ষেত্রে এলার্জি, চুলকানি এবং ফোলা ভাব কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

PubMed -- Key Factors Influencing the Progression of Egg Allergy in Children লেখকঃ Ebru Arik Yilmaz et al তথ্যসূত্র অনুযায়ী জানা যায় এই গবেষণায় শিশুদের ডিমের এলার্জি সম্পর্কে আগেই পূর্বভাস দেয়া হয়েছে। ডিমের এলার্জির পরিমাণ এবং IgE নামক একটি প্রোটিনের স্তরের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনার শিশু যদি আগে থেকেই এলার্জির সমস্যায় ভোগে তাহলে ভবিষ্যতে অ্যালার্জি আরো দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে।

PubMed -- Factors Influencing Long-Term Persistence of Immediate Egg Allergy in Chinese Pediatric Patients লেখকঃ Noelle Anne Ngai et al এই গবেষণা আমাদেরকে জানায় একজন চীনা শিশু তার মধ্যে ডিমের অ্যালার্জি কতদিন থাকে এবং তার আগাম পূর্বাভাস কি হতে পারে সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া গবেষণা থেকে আরও যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় সেটি হল ত্বক পরীক্ষা SPT করার মাধ্যমে ডিমের এলার্জির দীর্ঘকাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়। এছাড়া অন্যান্য এলার্জি যেমন পিনাট এলার্জি, এই পিনাট এলার্জি যদি শিশুর মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে ডিমের অ্যালার্জি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

আপনার যদি ডিমে এলার্জি থাকে তাহলে পরামর্শ

  • সবার প্রথমে আপনার সমস্যার জন্য একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন তিনি আপনাকে ভালো চিকিৎসার পাশাপাশি উত্তম পরামর্শ দিতে সক্ষম
  • যেহেতু ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুমে এলার্জি রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন ডিম না খেয়ে সপ্তাহে কয়েকদিন খেয়ে দেখুন কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে সঠিকটা জানুন

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে? যদি এরকম প্রশ্ন আপনার মনে এসে থাকে অথবা বাস্তব জীবনে হাঁসের ডিম খেলে অ্যালার্জির সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে এর কারণ হলো হাঁসের ডিমের মধ্যে এমন কিছু প্রোটিন রয়েছে যা আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে এবং এতে করে আপনার অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে। চলুন কোন প্রোটিনের কারণে এলার্জি হয় সেটি টেবিলের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক।

প্রোটিনের নাম কি কারনে এলার্জি হয়
Ovalbumin হাঁসের ডিমের যে সাদা অংশ থাকে এটিকে সাধারণত এলার্জির প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়
Ovomucoid আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, Ovomucoid প্রোটিন উপস্থিতি থাকার কারণে তার সহ্য করার ক্ষমতা রাখে এবং আপনি রান্না করার পরেও অ্যালার্জি হতে পারে।
Vitellogenin বামদিকে যে প্রোটিনটি দেখছেন আপনি সেটি সাধারণত হাঁসের ডিমের কুসুমে থাকে এবং এর কারণে এলার্জি হতে পারে

এ সম্পর্কে কিছু তথ্যসূত্র দেখে নেওয়া যাক

  • Zhou et al. (2022) গবেষণাটি ৫০ জন শিশুর ওপর করা হয় যারা প্রত্যেকে ডিমের এলার্জিতে আক্রান্ত। ফলাফল হিসেবে যা পাওয়া যায় ৫০ জন শিশুর মধ্যে কিছু শিশুর শুধু এলার্জির প্রতিক্রিয়া হয়েছিল।
  • Sánchez et al. (2024) গবেষণা থেকে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী হাঁসের ডিমের প্রধান এলার্জির কারণ হিসেবে যেটি চিহ্নিত করা হয়েছে সেটি হল Vitellogenin

হাঁসের ডিমে এলার্জির কিছু লক্ষণ কেন সতর্ক থাকবেন

  • হাঁসের ডিম খাওয়ার পরে ব্যাক্তি অনুযায়ী লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে। সবার যে একই রকম সমস্যা হবে সেটা বলা খুব কঠিন। তবে কিছু লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখা দিতে পারে যেমন--
  • আপনার ত্বকের র‍্যাশ, চুলকানি অথবা ফোলা ভাব সৃষ্টি হতে পারে
  • অনেক সময় পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • কারো কারো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, হাঁচি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অনেক সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে যায়
  • অ্যানাফাইল্যাক্সিস এটি মারাত্মক এলার্জির প্রতিক্রিয়া, যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ কমে যেতে পারে
  • পরিস্থিতি যদি খারাপ আকার ধারণ করে তাহলে হাসপাতালে যেতে হবে এবং চিকিৎসক সাধারণত এপিনেফ্রিন ইনজেকশন দিয়ে থাকেন
তথ্যসূত্রঃ Romero Sánchez et al. (2024) গবেষণার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী যেহেতু হাঁসের ডিমে Vitellogenin উপস্থিত থাকার কারণে একজন মানুষের মধ্যে তীব্র এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে

হাঁসের ডিমে এলার্জি প্রতিরোধের উপায় 

  • হাঁসের ডিমে আপনার এলার্জি রয়েছে কিনা সেটি জানার জন্য অ্যালার্জি স্কিন টেস্ট বা ব্লাড টেস্ট (IgE) করতে হবে
  • আপনার যদি হাঁসের ডিমের মারাত্মক সমস্যা থাকে তাহলে হাঁসের ডিম এবং হাঁসের ডিম দ্বারা তৈরি বিভিন্ন রকমের খাবার যেমন পেস্ট্রি, কেক, মাফিন, মেরিং ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে ডিম আপনাকে কেমন খেতে হবে সেটি চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন
  • কিছু গবেষণা থেকে জানা যায় আপনি যদি ডিম ভালোভাবে রান্না করেন তাহলে অ্যালার্জি অনেকটা কম হতে পারে
  • সবশেষে আপনাকে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সেজন্য আপনি একজন এলার্জি বিশেষজ্ঞ শরণাপন্ন হবেন

তথ্যসূত্রঃ Elliott et al. (2021) গবেষণা থেকে যে ফলাফল পাওয়া যায় তা হল আপনি যদি হাঁসের ডিমে ভালোভাবে তাপ দেন তাহলে এলার্জি কম হতে পারে। 

হাঁসের ডিমে এলার্জি থাকলে আপনি কি করবেন

বিশেষ করে যদি হালকা চুলকানি এবং র‍্যাশ হয় তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন ঔষধ খেতে পারেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। পেট ব্যথা এবং বমি ও ডায়রিয়ার জন্য পানি ও তরল পদার্থ পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে পাশাপাশি বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সমস্যা গুরুতর অনুভব করেন তাহলে জলদি হসপিটালে যান

হাঁসের ডিমের উপকারিতা কার্যকরী কিছু পুষ্টিগুণ

ডিম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে সেটি যদি হাসের ডিম হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। কারণ হাঁসের ডিম অন্যান্য ডিমের তুলনায় একটু বড় হয় এবং পুষ্টির দিক থেকে একটু এগিয়ে। কারণ আপনি হাঁসের ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন (এ, বি১২, ডি), খনিজ (আয়রন, সেলেনিয়াম), এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি উপাদান পাবেন। এগুলো আপনার স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রথম টেবিল হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ

পুষ্টি উপাদান হাঁসের ডিম 
ক্যালোরি ২২৩ ক্যালোরি
প্রোটিন ১২ গ্রাম
চর্বি ১৮.৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১.৪ গ্রাম
ফাইবার ০ গ্রাম
কোলেস্টেরল দৈনিক চাহিদার ২৭৬%
কলিন দৈনিক চাহিদার ৩৬%
কপার দৈনিক চাহিদার ৬%
ফোলেট দৈনিক চাহিদার ১৪%
আয়রন দৈনিক চাহিদার ২০%
ফসফরাস দৈনিক চাহিদার ১৬%
রিবোফ্লাভিন দৈনিক চাহিদার ২৮%
সেলেনিয়াম দৈনিক চাহিদার ৬২%
থায়ামিন দৈনিক চাহিদার ১০%
ভিটামিন A দৈনিক চাহিদার ২৩%
ভিটামিন B6 দৈনিক চাহিদার ১৫%
ভিটামিন B12 দৈনিক চাহিদার ১৬৮%
ভিটামিন D দৈনিক চাহিদার ৮%
ভিটামিন E দৈনিক চাহিদার ১৩%
জিঙ্ক দৈনিক চাহিদার ১২%

বিশ্বস্ত তথ্যসূত্রঃ healthline

হাঁসের ডিমের উপকারিতা কার্যকরী কিছু পুষ্টিগুণ

পুষ্টি উপাদান বিবরণ
হৃদরোগের স্বাস্থ্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আপনার রক্ত সঞ্চালন এবং হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
প্রতিরোধ ক্ষমতা হাঁসের ডিমে অবস্থিত সেলিনিয়াম এবং যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
চোখের স্বাস্থ্য ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনয়েডস আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পেশীর বৃদ্ধি এবং মেরামত প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকাতে আপনার বেশি বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
বেকিং হাসির ডিমে প্রচুর চর্বি পাওয়া যায় এজন্য এটি বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এটি অবস্থিত থাকার কারণে আপনার শরীরকে ফ্রি রেডিকেলস থেকে রক্ষা করতে এবং বয়সজনিত নানা ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্রঃ ইংরেজি কিছু গবেষণামূলক ওয়েবসাইট

কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে গবেষণামূলক তথ্য

ডিম আমাদের প্রত্যেকের খাদ্য তালিকায় প্রায়ই থাকে। ডিম থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পাই যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী অপরদিকে এই ডিম খেলে অনেকের এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এলার্জির এই প্রতিক্রিয়া ছোট থেকে শুরু করে বড় সকলের মধ্যেই কম বেশি দেখা যায়। এই প্রেক্ষাপটে কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জি আছে কিনা তা আমরা অনেকেই জানিনা। বিষয়টি জানার জন্য গবেষণা, বিভিন্ন ধরনের কেস স্টাডি এবং বিজ্ঞানসম্মত তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে গবেষণামূলক তথ্য

কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জি এটি তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত। তাছাড়া কিছু গবেষণা থেকে দেখা যায় আপনার যদি মুরগির ডিমে এলার্জি থাকে তাহলে কোয়েল পাখির ডিমের প্রতি সংবেদনশীলতা বেশি থাকতে পারে। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় যে সমস্ত শিশুদের মুরগির ডিমের এলার্জি রয়েছে তাদের কোয়েলের ডিমের সাদা অংশের প্রতি ৬৯.২% এবং কুসুমের প্রতি ৫৯.২% ইতিবাচক সংবেদনশীলতা দেখা গেছে।

তাহলে এটি থেকে আমরা জানতে পারলাম যে মুরগির ডিমে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে কোয়েল পাখির ডিমের প্রতিও তাদের এলার্জির ঝুঁকি থাকে। আবার অনেক সময় এর বিপরীতে কিছু দেখা গেছে যে যাদের মুরগির ডিমে এলার্জি নেই তারা যখন কোয়েলের ডিম গ্রহণ করছেন তখন এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি কোয়েল পাখির ডিমের ভেতর এমন কিছু প্রোটিন রয়েছে যা শুধু কোয়েল পাখির প্রতি এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। 

তথ্যসূত্রঃ ইংরেজি বড় বড় ওয়েবসাইট

কোয়েল পাখির ডিমের এলার্জির লক্ষণ

কোয়েল পাখির ডিমের এলার্জি অন্যান্য খাবার খেলে আমাদের শরীরে যে রকম এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সেরকম। আমি নিজে কোয়েল পাখির ডিম খেয়ে থাকি ইনশাল্লাহ আমি কোন সমস্যার সম্মুখীন হই নি। তবে ব্যক্তি ভেদে ভিন্নতা থাকতে পারে এর কিছু লক্ষণ যেমনঃ--

  • হাঁপানি অথবা শ্বাসকষ্ট
  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  • হাঁচি ওঠা
  • চোখ লাল অথবা পানিতে ভরা
  • অনেক সময় পেট ব্যাথা এবং বমি
  • ডায়রিয়া ও দেখা দিতে পারে
গুরুতর কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে কোয়েল পাখির ডিমের এলার্জি অ্যানাফিল্যাক্সিসের যার মানে --- হচ্ছে তাড়াতাড়ি সৃষ্টি হওয়া এলার্জির প্রতিক্রিয়া--আপনার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত কোয়েল পাখি খাওয়ার কয়েক মিনিট পর অথবা কিছু ঘন্টার মধ্যে দেখা দিতে পারে।

তথ্যসূত্রঃ ইংরেজি কিছু বড় বড় ওয়েবসাইট

কোয়েল পাখির ডিমের অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান

গবেষণা তথ্য থেকে আমি যা জানতে পারি কোয়েল পাখির ডিমে সাধারণত ওভালবুমিন প্রোটিন উপাদান থাকে। আপনি একটি বিষয় খেয়াল করে দেখুন মুরগির ডিমে কিন্তু ওভালবুমিন প্রোটিন উপাদান থাকে, সেজন্য যাদের মুরগির ডিমের এলার্জি হয় তাদের কোয়েল পাখির ডিমেও এলার্জি থাকতে পারে।

একটি কেস স্টাডিতে দেখা যায় যাদের মুরগির ডিমে এলার্জি নেই সে সমস্ত রোগী যখন কাঁচা কোয়েল ডিম খাচ্ছেন তারা অ্যানাফিল্যাক্টিক এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। কোয়েল পাখির ডিমের প্রধান প্রোটিন হল ওভোট্রান্সফারিন, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু আমাদের মধ্যে যে ইমিউন সিস্টেম রয়েছে সেটি

ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় কোয়েল পাখির ডিমের সাদা অংশে ৯৭ kDa এবং ৬০ kDa ওজনের দুইটি IgE-binding সনাক্ত করা হয়েছে, যেটি ওভোট্রান্সফারিন এবং ওভালবুমিনের মিলে যায়।

আপনাদের সুবিধার্থে চলুন এক নজরে কোয়েল পাখির ডিম এবং মুরগির ডিমের প্রধান এলার্জি ও ক্রস রিএক্টিভিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখে নেওয়া যাক। নিচে টেবিলে দেখুনঃ--

অ্যালার্জেন (Allergen) কোয়েল ডিমে উপস্থিতি (Presence in Quail Egg) মুরগির ডিমে উপস্থিতি (Presence in Chicken Egg) ক্রস-রিঅ্যাকটিভিটির সম্ভাবনা (Potential for Cross-Reactivity)
ওভালবুমিন (Ovalbumin) হ্যাঁ হ্যাঁ উচ্চ
ওভোমিউকয়েড (Ovomucoid) হ্যাঁ হ্যাঁ মাঝারি
ওভোট্রান্সফারিন (Ovotransferrin) হ্যাঁ হ্যাঁ, তবে ভিন্ন রূপে মাঝারি থেকে উচ্চ, শালা কিছু ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিমে এলার্জি হতে পারে

তথ্যসূত্রঃ কিছু কেস স্টাডি এবং জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা পুষ্টিগুণ কি থাকছে 

কোয়েল পাখির ডিম আপনি যদি দেখে থাকেন তাহলে কিন্তু অন্যান্য ডিমের চাইতে এটি সাইজে অনেক ছোট হয়ে থাকে। বাংলায় আমরা বলি না ছোট মরিচের ঝাল বেশি তেমনি ভাবে কোয়েল পাখির ডিম ছোট হলেও এর পুষ্টিগুণ কিন্তু ভালো পরিমাণে রয়েছে। কোয়েল পাখির ডিমে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিন ইত্যাদি উপাদান থাকে। এ উপাদান গুলো আপনার হৃদযন্ত্র ভালো রাখে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ডাক্তারের সাহায্য করে, মেয়েটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে। চলুন কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি হয় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কোয়েল পাখির ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ

  • আমাদের প্রতিদিনের কাজে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • আপনারা নিশ্চয়ই জানেন প্রোটিন সাধারণত তৈরি হয় অ্যামিনো এসিড দিয়ে যা আমাদের শরীর গঠনে সাহায্য করে
  • এমিনো এসিড আমাদের হাড় পেশী মেরামত করতে সাহায্য করে
  • তাছাড়া আমাদের হরমোন এবং এনজাইম তৈরিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে

কোয়েল পাখির ডিম কোলেস্টেরল ঠিক রাখতে সাহায্য করে

  • কোয়েল পাখির ডিমে সাধারণত ৬০% ভালো ফ্যাট থাকে যেমনঃ monounsaturated ও polyunsaturated
  • আপনি যখন ডিম গ্রহণ করেন ভালো ভ্যাট গুলো আপনার কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে অথবা ঠিক রাখতে সাহায্য করে
  • কোয়েল পাখির ডিম আপনার হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়

আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

  • নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে যে ফ্রি রেডিকেল হল ক্ষতিকর একটু উপাদান। এটি আমাদেরকে রোগ এবং বয়সজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • কোয়েল পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে Vitamin A রয়েছে, ভিটামিন এ আপনার শরীরে ক্ষতিকারক উপাদান গুলোর সাথে যুদ্ধ করে এবং আপনার শরীর এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে

আপনার এলার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে

  • কোয়েল পাখির ডিমের সাধারণত Ovomucoid নামক প্রোটিন থাকে যেটা আপনার প্রাকৃতিক এলার্জি প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে
  • অনেক সময় এলার্জির কারণে আপনার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া শরীরে চুলকানি এবং প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এটি আপনার এ সমস্ত বিষয়গুলো কমাতে সাহায্য করে।
  • কোয়েল পাখির ডিম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
  • কোয়েল পাখির এই ডিমে আপনি কার্বোহাইড্রেট পাবেন যা শক্তির ভালো উৎস। আপনি শারীরিকভাবে শক্তিশালী থাকতে চাইলে এটি হতে পারে আপনার জন্য ভালো বিকল্প

বিপাকক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে

  • কোয়েল পাখির ডিমে Vitamin B রয়েছে, এটি আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি খাবার খাওয়ার পর খাদ্য থেকে যে শক্তি তৈরি হয় তাকে মেটাবলিজম বলতে বলা হয়। এটি আপনার শরীরের কোষ তৈরি, মেরামত এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ঠিকমতো কাজ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো করতে সাহায্য করে

  • কোয়েল পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ উপস্থিতির কারণে আপনার চোখ ভালো থাকতে সাহায্য করে
  • এতে আপনার চোখের ছানি এবং অন্যান্য যাবতীয় চোখের সমস্যা গুলো থেকে প্রতিরোধ করে। এছাড়া ভিটামিন এ আপনার হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
বিশ্বস্ত তথ্যসূত্রঃ WEBMD --- Nutritional Value and Health Advantages of Quail Eggs

কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ১টি কোয়েল ডিম ৯ গ্রাম

পুষ্টি উপাদান পরিমাণ 
ক্যালরি ১৪ ক্যালরি
প্রোটিন ১ গ্রাম
ফ্যাট (চর্বি) ১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ০ গ্রাম
ফাইবার ০ গ্রাম
কোলিন দৈনিক চাহিদার ৪%
রিবোফ্লাভিন (ভিটামিন বি২) দৈনিক চাহিদার ৬%
ফলেট (ভিটামিন বি৯) দৈনিক চাহিদার ২%
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড দৈনিক চাহিদার ৩%
ভিটামিন এ দৈনিক চাহিদার ২%
ভিটামিন বি১২ দৈনিক চাহিদার ৬%
আয়রন (লোহা) দৈনিক চাহিদার ২%
ফসফরাস দৈনিক চাহিদার ২%
সেলেনিয়াম দৈনিক চাহিদার ৫%

বিশ্বস্ত তথ্যসূত্রঃ Healthline

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক যা জানা জরুরী

কোন কিছুর ভালো যেমন রয়েছে তেমনি এর খারাপ দিক ও রয়েছে। কোয়েল পাখির ডিম কারো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী আবার কারো জন্য নানারকম ক্ষতির কারণ। তবে আমার রিসার্চ এবং বিভিন্ন গবেষণাপত্র অনুযায়ী কোয়েল পাখির ডিমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে তবে পরিমাণ খুব কম। তার মধ্যে একটি সমস্যা হলো এলার্জি। পাস্তুরাইজড করা হয়নি এমন ডিম খেলে আপনি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। আবার কোয়েল পাখির ডিমের উচ্চ কোলেস্টেরল থাকায় যাদের হার্টের অথবা হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

বিষয় সংক্ষিপ্ত তথ্য
অ্যালার্জি কোয়েল পাখির ডিম কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে।
লক্ষণগুলো হলো চুলকানি, র‍্যাশ, শ্বাসকষ্ট, চোখ অথবা মুখ ফুলে যাওয়া।
অ্যালার্জি থাকলে আপনি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কোয়েল পাখির ডিমে Salmonella নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
আপনি চেষ্টা করবেন ডিমটি ভালো করে রান্না করে খেতে। সিদ্ধ অথবা কাঁচা ডিম না খাওয়াই ভালো।
যে সমস্ত মা-বোনেরা গর্ভবতী এবং আপনাদের মধ্যে যারা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন রয়েছেন, তাদেরকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
কোলেস্টেরল সমস্যা তাছাড়া এটিতে উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে, যার ফলে হৃদরোগ ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আপনার যদি কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে, তাহলে খাবার আগে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।
অন্যান্য সতর্কতা কোয়েল পাখির ডিম কিছু মানুষের শরীরে খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যক্তি ভেবে কোয়েল পাখির ডিম রেসপন্স করতে পারে। সেজন্য সবার প্রথমে আপনাকে নিজের শরীরের অবস্থা বুঝতে হবে।
যদি আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ দিন।

বিশ্বস্ত কিছু তথ্যসূত্রঃ WEBMD, HEALTHLINE

ব্যক্তিগত মতামতঃ ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে 

ফার্মের মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে আশা করি আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার হতে পেরেছেন। আমি আপনাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন রিসার্চ, গবেষণামূলক ও বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট এবং সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। আমি চেষ্টা করি আমার পাঠকদের জন্য সব সময় সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করতে। যাতে করে আপনারা কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হন, তবে আপনি অবশ্যই আমার পুরো তথ্যের উপর ভরসা না করে নিজে যাচাই-বাছাই করবেন এবং যদি অ্যালার্জির সম্মুখীন হন তাহলে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

FAQ Frequently Asked Questions প্রশ্ন এবং উত্তর পর্ব


প্রশ্ন ১ঃ-- হাসির ডিম খাওয়ার কারণে প্রেসার বাড়ে কি?

উত্তরঃ --- যেহেতু হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট বেশি রয়েছে তাই আপনি যদি অতিরিক্ত গ্রহণ করেন তাহলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। তাই চেষ্টা করবেন অল্প পরিমাণে খাওয়ার তাহলে আশা করি সমস্যা হবে না।

প্রশ্ন ২ঃ -- হাঁসের ডিম খেলে কি ঠান্ডা অনুভব হয়?

উত্তরঃ --- হাঁসের ডিম খেলে শরীর ঠান্ডা অনুভব করে এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি আমার জানা মতে। আপনার যদি অ্যালার্জি অথবা সংবেদনশীলতার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ঠান্ডা অনুভব হতে পারে

প্রশ্ন ৩ঃ -- হাঁসের ডিম কেমন করে খাবেন বা খাওয়ার নিয়ম কি?

উত্তরঃ --- আপনি হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে, রান্না অথবা ভাজা করে খেতে পারবেন তবে অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা থেকে দূরে থাকবেন। কারণ এটি আপনার কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে

প্রশ্ন ৪ঃ -- হাঁসের ডিম কাঁচা খাওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ --- হাঁসের ডিম কাঁচা না খাওয়াই ভালো কারণ সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এতে করে আপনার নানা সমস্যা হতে পারে যেমনঃ পেটের ব্যথা এবং ডায়রিয়া। তাই চেষ্টা করবেন সিদ্ধ অথবা রান্না করে খেতে।

প্রশ্ন ৫ঃ -- প্রতিদিন ডিম খেলে কি উপকার হয়?

উত্তরঃ --- ডিমে যেহেতু প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ১-২ টিল করে ডিম খেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url