গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এই প্রশ্ন হাজারো মায়ের। আপনার সন্তান বুদ্ধিমান হবে কিনা এটা নির্ভর করবে গর্ভাবস্থায় খাদ্যভ্যাসের উপর। গর্ভাবস্থায় শুধু একজন মায়ের শরীরেই পরিবর্তন আসে না, বরং আপনার গর্ভের শিশুরও ভবিষ্যৎ গড়ে উঠতে থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এমন কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে যা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশের জন্য খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়? কোন পুষ্টি উপাদান শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আজকের আলোচনায় বিস্তারিত তুলে ধরবো।
পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে গর্ভবতী মায়ের খাদ্যভ্যাস
- অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোন সবজিগুলো এড়িয়ে চলা উচিত
- সন্তানের সুস্থ বিকাশে কোন ফলগুলো খাবেন
- গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে কোন ফলগুলো এড়িয়ে চলবেন
- মাছ খাওয়ার নিয়ম ও হবু মায়েদের জন্য সতর্কতা
- শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে গর্ভাবস্থায় কি খাবেন
- ব্যক্তিগত মতামতঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ নিয়ে বাবা মার মধ্যে চিন্তার শেষ নাই। সব বাবা মায়েরই প্রত্যাশা থাকে তাদের সন্তান যেন বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়। এ কারণেই গর্ভবতী নারীরা তাদের সন্তানের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খান এবং স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে চলার চেষ্টা করেন। কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় চলুন, এই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাবিহা আনজুম শেখ (Consultant Gynecologist at Medicover Hospitals in Bengaluru) তার প্রদত্ত তথ্যসূত্রেঃ
- শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য চর্বিযুক্ত মাছ অথবা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সম্পূর্ণ খাবার গুলো হলো কুমড়োর বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, সামুদ্রিক মাছের মধ্যে অন্যতম সালমন, টুনা, সার্ডিন, ঝিনুক, ম্যাকেরেল,হারিং ইত্যাদি। আপনি যদি বুদ্ধিমান শিশু জন্ম দিতে চান তাহলে সালমন মাছ বেশি করে খাওয়া উচিত। এছাড়া ঝিনুক একটি আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার গর্ভাবস্থায় আয়োডিনের ঘাটতি থাকলে শিশুর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
- আপনার শিশুর মস্তিষ্ককের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হাওয়া থেকে রক্ষা করতে গর্ভবস্থায় সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি খান। কারণ সবুজ শাকসবজিতে ফোলিক অ্যাসিড রয়েছে। পালং শাক, ডাল এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতে আপনি ফোলিক অ্যাসিড পাবেন। এই ফলিক অ্যাসিড আপনার সন্তানের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করে, নিউরাল টিউবের সমস্যা কমায়, এবং উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা কমিয়ে দেয়।
- ব্লুবেরি হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। যা ছোট নীল রঙের একটি ফল। এই ব্লুবেরী পুষ্টিতে ভরপুর এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। ব্লু বেরি সাধারণত আমাদের দেশে খুব একটা চাষ হয় না। এটি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চীন ইত্যাদি দেশেগুলোতে চাষ হয়। ব্লুবেরি সুপারমার্কেট অথবা গ্লোবাল শপিং সাইটে পেতে পারেন। ব্লুবেরির পরিবর্তে টমেটো, মটরশুঁটি, স্ট্রবেরি, ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
- ডিমে আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাবেন। ডিমে অ্যামিনো অ্যাসিড কলিন থাকে যা আপনার শিশুর মস্তিষ্কের গঠন এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অত্যান্ত কার্যকরী। ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েরা অপাস্তুরিত ডিম এড়িয়ে চলবেন। পাস্তুরাইজেশন এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করা হয়। অপাস্তুরিত ডিমে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যা আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকর।
সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে গর্ভবতী মায়ের খাদ্যভ্যাস
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের
প্রয়োজন হয়। আপনি যখন গর্ভবতী হন তখন শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় 25% বিকাশ
ঘটে। আপনার সন্তানের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করুন যা তার পথ চলাকে সহজ
করে দিবে। সেজন্য এখন থেকেই আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন প্রশ্ন
হল কোন কোন খাবার গুলো আপনি খাবেন? চলুন, আপনাকে একটু সহজ করে
দিই।
- গ্রিক দইঃ গ্রিক দই একটি প্রোটিন সম্পন্ন খাবার হওয়ার পাশাপাশি আয়োডিনের ও গুরুত্বপূর্ণ উৎস। গ্রিক দই এ অবস্থিত প্রোটিন মাতৃগর্ভে অবস্থিত শিশুর স্নায়ু কোষ গঠনে এবং হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
চিজঃ চিজ এ ভিটামিন ডি রয়েছে। ভিটামিন ডি আপনার সন্তানের
মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভকালীন অবস্থায়
আপনার শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে সন্তানের আইকিউ স্তর কম হতে
পারে।
-
কুমড়োর বীজঃ আপনি কুমড়োর বিচিতে জিংক পাবেন, যা খনিজ সম্পদের
একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। জিংক আপনার সন্তানকে চিন্তা করতে শেখায়,
সমস্যার সমাধান করতে শেখায়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে
শেখায়। তাছাড়া কুমড়োর বীজ একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার।
-
শিমের বীজঃ শিমের বীজে আপনি প্রচুর পরিমাণে আয়রন
পাবেন। এটি আপনার শিশুর মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করতে
সাহায্য করে। সেজন্য ডাক্তাররা গর্ভবতী মায়েদের এই খাবার বেশি পরিমাণে
খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
- দুধঃ দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। নিয়মিত দুধ পান করার চেষ্টা করুন। এতে করে কি হবে জানেন? আপনার সন্তানের মানসিক কার্যকারিতা গঠন এবং মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
অ্যাভোকাডো বা মাখনফলঃ অ্যাভোকাডোতে আপনি
মনোঅ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাবেন।আপনি এই ফল এখন বাংলাদেশে
পাবেন। যদিও এই ফলটি বাংলাদেশের স্থানীয় ফল না। একটু খোঁজ করলে
ফলের দোকান অথবা সুপার মার্কেটে পাওয়া যেতে পারে।
-
কুইনোয়াঃ কুইনোয়া একটি শস্যজাতীয় খাবার। এই কুইনোয়াতে
আপনি প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ উপাদান পাবেন। এটি আপনার গর্ভের
সন্তানকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করবে।সেজন্য এই খাবারটি আপনার
খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখবেন।
-
চিয়া সিডঃ চিয়া সিড এ আপনি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড,
ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন। আপনি কি জানেন? চিয়া সিড একটি
শক্তিশালী খাবার। এটি আপনাকে যেমন শক্তি দিবে তেমনি ভাবে আপনার
গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করবে।
- মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলুর সঙ্গে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। মিষ্টি আলু গ্রামীন এলাকাগুলোতে বেশি পরিমাণে চাষ হয়। মিষ্টি আলুতে আপনি বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ উপাদান পাবেন। এই বিটা ক্যারোটিন শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
- বাদামঃ বাদামে চর্বি,ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন ই এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাছাড়া বাদামে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করতে চাইলে প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খান।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোন সবজিগুলো এড়িয়ে চলা উচিত
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায়
থাকেন। দুশ্চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক, কারণ পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর ধ্বনি
হচ্ছে মা। মাতৃত্বের মাধ্যমে একজন নারী পরিপূর্ণতা অনুভব করে।সন্তানের মুখ
দেখা মাত্রই একজন মা তার জীবনের গত দশ মাসের সব দুঃখ কষ্ট নিমিষেই ভুলে
যায়।গর্ভাবস্থায় একজন নারী তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করেন। সেজন্য
সন্তানের কথা চিন্তা করে গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না তা আপনাদের জানাবো।
- কাঁচাপেপে
- করলা
- কাঁচা মূলা
- অ্যালোভেরা
- বেগুন
- সজিনা
সন্তানের সুস্থ বিকাশে কোন ফলগুলো খাবেন
যদি একজন নারীকে প্রশ্ন করা হয়, তার জীবনের অন্যতম সেরা সময় কোনটি ছিল তবে তার
উত্তর হবে গর্ভাবস্থা। এ সময় আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনার আশেপাশের অনেক
মানুষের আচরণ ও ভালো হয়ে যায়। এ সময় হয়তো নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা
উঁকি দেয় আপনার মনে। তবে এই সময় একটি কাজ আপনি নির্দ্বিধায় করতে পারবেন।
সেটা হলো ফল খাওয়া। গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত চলুন এক নজরে দেখে
নেয়া যাক।
- কিউই
- কলা
- পেয়ারা
- কমলা
- আপেল
গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে কোন ফলগুলো এড়িয়ে চলবেন
গর্ভাবস্থায় একজন মা হিসেবে আপনাকে অনেক বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন জরুরি তেমনিভাবে এমন অনেক খাবার আছে যা আপনাকে পরিত্যাগ করতে হবে। আমরা জানি, ফলমূল পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি খাবার। কিন্তু এই খাবারগুলো কখনো না কখনো আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় আপনার এবং আপনার সন্তানের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এক নজরে দেখে নিন।- কাঁচা আম
- আনারস
- কামরাঙ্গা
- আঙ্গুর
মাছ খাওয়ার নিয়ম ও হবু মায়েদের জন্য সতর্কতা
একজন নারী যখন প্রথম গর্ভবতী হন তখন বিষয়টি তার কাছে স্বপ্নের মতো মনে
হয়। কিন্তু আপনার এই যাত্রা পথে যেমন সুখ আছে তেমনি কষ্টও আছে। এই
সময় আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় আপনার
বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছে হবে। কিন্তু আপনাকে ভুলে গেলে চলবে না আপনার
শরীরে আর ও একটি প্রাণ বেড়ে উঠেছে। গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না এক
নজরে দেখে নিন।
- বড় এবং শিকারি মাছ যেমন হাঙ্গর, সোর্ডফিশ, কিং ম্যাকেরেল বা টাইলফিশ খাবেন না। কারণ এসব মাছের দেহে পারদ জমে থাকার সম্ভাবনা থাকে। পারদ একটি বিষাক্ত পদার্থ। সমুদ্রের পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে পারদ পানিতে সম্পূর্ণভাবে মিশে যায়। সমুদ্রে অবস্থিত ছোট ছোট মাছেরা এটি গ্রহণ করে। হাঙ্গর, সোর্ডফিশ, কিং ম্যাকেরেল বা টাইলফিশ এ সমস্ত শিকারি মাছ যখন ছোট মাছ খায়, তখন তাদের শরীরে পারদের পরিমাণ আরো বেশি জমা হয়।
- সামুদ্রিক মাছ ১৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা রান্না করুন। আপনি চিংড়ি এবং গলদা চিংড়ি ততক্ষণ পর্যন্ত রান্না করবেন যতক্ষণ না সেগুলো সাদা হয়। ক্লাম এবং ঝিনুক এর ক্ষেত্রে ততক্ষণ রান্না করুন যতক্ষণ না তাদের খোসা খোলা হয়।
- আপনি কাঁচা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার যেমন ঝিনুক, সুশি, সাশিমি রান্না না করে খাবেন না। কারণ এগুলোতে ক্ষতিকর ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। চিংড়ি, স্যামন, তেলাপিয়া, মাগুর, এ সমস্ত মাছে পারদ এর পরিমান কম থাকে। তাই হবু মায়েরা আপনাদের খাদ্য তালিকায় এ সমস্ত মাছগুলো রাখতে পারেন।
- আপনি এমন কোন জলাশয়ের মাছ খাবেন না যার পানি এবং পরিবেশ সম্পর্কে আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত নন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সাথে কথা বলুন। তারা আপনাকে বলে দিবে কোন জলাশয়ের মাছ নিরাপদ এবং কোনটি খাওয়া উচিত নয়। যদি সংস্থাগুলো থেকে কোন নির্দিষ্ট তথ্য না পান তাহলে ১৭০ গ্রাম এর বেশি মাছ খাবেন না।
শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে গর্ভাবস্থায় কি খাবেন
গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব
অপরিসীম। আপনি কি জানেন আমাদের বাংলাদেশ এ অনেক শিশু অপুষ্টিতে ভোগে শুধু
মাত্র সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে। এ সময় আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত
ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় আপনার ওজন ১০-১২ কেজি বাড়লেই
যথেষ্ট। জন্মের সময় আপনার শিশুর ওজন কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
যার ফলস্বরূপ শিশুর অসুস্থতা বারবার দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় কি
খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে জেনে নিন।
- প্রোটিন
- পানি
- গোটা শস্য
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
- আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
- ফলমূল ও শাকসবজি
ব্যক্তিগত মতামতঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় আশা করি আমার এই আর্টিকেলের দ্বারা আপনি কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। গর্ভাবস্থার সময়গুলো একজন নারীর জীবনে সবচেয়ে স্পেশাল। এই স্পেশাল মুহূর্তগুলোকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য কিছু পদক্ষেপ আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। যাতে আপনি এবং আপনার শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন।
অন্তঃসত্ত্বার এই যাত্রাপথে আপনি কখনো ভারী কাজগুলো করবেন না। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় কুসংস্কার অনেক কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাউকে সরল মনে বিশ্বাস করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। যেকোন প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আমি সর্বদা চেষ্টা করি সঠিক, নির্ভরযোগ্য, এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত তথ্য প্রদান করতে। যাতে আমার পাঠকরা কোন ভুল তথ্যের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন না হন। আশা করি মাতৃত্বের এই স্পেশাল যাত্রাটি উপভোগ করবেন।
সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url