মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম

মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম নির্বাচন করা আজকাল অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের নাইট ক্রিম পেয়ে যাবেন, কিন্তু তাতে উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণই বেশি। সেজন্য নাইট ক্রিম নির্বাচনের জন্য বিশেষ কিছু ফর্মুলা জানা জরুরী

মেয়েদের-তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-ভালো-নাইট-ক্রিম
সঠিক নাইট ক্রিম এর ব্যবহার আপনার ত্বককে হাইড্রেট রাখে, তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আপনি কি তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে চিন্তিত? সঠিক নাইট ক্রিম নির্বাচন করতে পারছেন না। আজকের আর্টিকেলে নাইট ক্রিমের গাইডলাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম

মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম

মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম বাছাই করতে অনেকেই হিমশিম খেয়ে যান। হিমশিম খাওয়ারই কথা, বর্তমানে বাজারের যা অবস্থা আসল, নকল এবং ভেজাল চেনা বড় দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা এবং প্রলোভনকারী বিজ্ঞাপন দেখে নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। এমন অবস্থায় অনেক মা-বোনেরা ভুল নাইট ক্রিম নির্বাচন করে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে বসেন। চলুন, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কিভাবে সঠিক নাইট ক্রিম নির্বাচন করা যায় তা জেনে নেওয়া যাক।

নাইট ক্রিমের নাম এদের মূল উপাদানগুলো কি কি ক্রিমের প্রধান উপকারিতা
সেরাভে রিনিউইং এসএ ক্রিম সালিসিলিক অ্যাসিড আপনার ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার, ব্রণ এবং ব্ল্যাকহেডস কমায়
লরিয়াল প্যারিস হায়ালুরোনিক অ্যাসিড হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড এবং তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়োট্রোজিনা অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার হালকা ময়েশ্চারাইজিং ফর্মুলা আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে
দ্য অর্ডিনারি নিয়াসিনামাইড ১০% + জিঙ্ক ১% নিয়াসিনামাইড এবং জিঙ্ক ব্রণ এবং লালভাব কমায়
নিয়োট্রোজিনা হাইড্রো বুস্ট ওয়াটার জেল হায়ালুরোনিক অ্যাসিড আপনার ত্বককে দ্রুত হাইড্রেট করতে সাহায্য করে
ওলে রিজেনারিস্ট রেটিনল ২৪ নাইট ক্রিম রেটিনল ত্বকের কোষ নুতনত্ব করে এবং বলিরেখা কমায়
প্লাম গ্রিন টি রিনিউড ক্ল্যারিটি নাইট জেল গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্ট এতে অবস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
লরিয়াল প্যারিস রিভিটালিফ্ট নাইট ক্রিম প্র-রেটিনল এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে

উপরে উল্লেখিত নাইট ক্রিমগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। তবে নাইট ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের জন্য এটি উপযুক্ত কিনা সেই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। যদি ত্বকে অ্যালার্জি অথবা জ্বালাপোড়া অনুভব করেন তাহলে ব্যবহার বন্ধ করে দিন এবং একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। উল্লেখিত ক্রিমগুলো আমি বিভিন্ন গবেষণা পত্র থেকে সংগ্রহ করেছি। আমি আমার পাঠকদের জন্য চেষ্টা করি সব সময় সত্য, নির্ভরযোগ্য এবং রিচার্জ ভিত্তিক তথ্য প্রদান করতে।

তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া নাইট ক্রিম

তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া নাইট ক্রিম আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য এবং সুস্থতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বাজারে নাইট ক্রিমগুলোর দাম অনেক বেশি। নাইট ক্রিমগুলোর দাম বেশি হওয়ার কারণে সবাই কেনার সামর্থ্য রাখেনা। তাছাড়া নাইট ক্রিমগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার মনে কিছু সংশয় থেকেই যায়, যে ক্রিমগুলো কি আসলেই ভালো, কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল নেই তো। আসুন, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে নাইট ক্রিমগুলো প্রস্তুত করবেন তা জেনে নিন।

  • নাইট ময়েশ্চার ক্রিম অথবা অলিভ অয়েল নাইট ক্রিমঃ আপনি একটি পাত্রে অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল এবং মৌমাছির মোম নিন। তারপর আগুনের হালকা আঁচে নারিকেল তেল এবং মৌমাছির মোম মিশ্রণটি ভালোভাবে গলিয়ে নিন। যখন দেখবেন মিশ্রণটি পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন একটি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করুন। প্রস্তুতকৃত ক্রিমটি প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করবেন। 
  • বাদাম এবং নারকেলের নাইট ক্রিমঃ প্রথমে আপনি একটি পাত্রে নারিকেল তেল এবং বাদাম তেল গরম করুন। পরের ধাপে গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর যখন দেখবেন পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন একটি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করুন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ব্যবহার করবেন।
  • কোকো বাটার নাইট ক্রিমঃ একটি পাত্রে কোকো বাটার, ভার্জিন অলিভ অয়েল এবং নারিকেল তেল হালকা আগুনের তাপে গলিয়ে নিন। যখন দেখবেন মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন একটি পাত্রে সংগ্রহ করুন। আপনি যদি এর কার্যকারিতা দ্রুত পেতে চান তাহলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।
  • অ্যালোভেরা নাইট ক্রিমঃ আপনি অ্যালোভেরা নির্যাস, লেভেন্ডার অয়েল এবং প্রিমরোজ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে সংরক্ষণ করুন। নিয়মিত ব্যবহারে আশা করা যায় আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।
সতর্কতাঃ চেষ্টা করবেন এ সমস্ত নাইট ক্রিমগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করার, এতে করে এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এ সমস্ত ক্রিমগুলো ব্যবহার করার পর ত্বকে কোনরকম অ্যালার্জি, জ্বালাপোড়া অথবা অন্যান্য যাবতীয় সমস্যা অনুভব করলে আপনি এগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দিন। যদিও এ সমস্ত নাইট ক্রিমগুলো প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। তবুও কিছু উপাদান আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। আপনার ত্বকের জন্য কোন নাইটক্রিমগুলো উপযুক্ত হবে তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কম দামে ভালো নাইট ক্রিম

আমরা প্রত্যেকেই কম দামে ভালো জিনিস পেতে চাই। আপনি যদি কম দামে ভালো কিছু পেতে চান তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বাজারে কম দামে অনেক ধরনের নাইট ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে থেকে কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত তা নির্বাচন করা অত্যান্ত জরুরী। কোন ক্রিমে পারদ, হাইড্রোকুইনোন, প্যারাবেনস, ফর্মালডিহাইড, ফথালেটস, সোডিয়াম লরিল সালফেট, টলুইন, ট্রাইক্লোসান, মিনারেল অয়েল, সিন্থেটিক ফ্রাগরেন্স, ইত্যাদি থাকলে এড়িয়ে চলবেন। চলুন, কম দামে কিছু ভালো নাইট ক্রিম দেখে নেওয়া যাক।

মেয়েদের-তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-ভালো-নাইট-ক্রিম
ক্রিমগুলোর নাম বাংলাদেশ প্রাইস
ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট নাইট ক্রিম ৩৮৪ টাকা হতে পারে
হিমালয় রিভিটালাইজিং নাইট ক্রিম ২০০ টাকা হতে পারে
লোটাস হারবাল নিউট্রানাইট নাইট ক্রিম ৪১০ টাকা হতে পারে
পন্ডস হোয়াইট বিউটি নাইট ক্রিম ১০৫০ টাকা হতে পারে
বুম্পার হোয়াইট হোয়াইটেনিং ক্রিম ৫০০-৬০০ টাকা হতে পারে
জাইন অ্যান্ড মাইজা ভিটামিন সি ক্রিম ৮০০-১০০০ টাকা হতে পারে
সিম্পল ভাইটাল ভিটামিন নাইট ক্রিম ৬৮০ টাকা হতে পারে

সতর্কতাঃ কথায় আছে জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশি। কম দামে কোন জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। আমার মতে কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া খুব দুর্লভ। নাইট ক্রিমগুলো কেনার আগে ক্ষতিকর কোন কেমিক্যাল আছে কিনা তা দেখে নিবেন। বর্তমান বাজারগুলো অনুযায়ী ক্রিমগুলোর দাম হয়তো কিছুটা কম বেশি হতে পারে। ক্রিমগুলো ব্যবহারের পর ত্বকে কোনরকম ক্ষতি অনুভব করলে সাথে সাথে ব্যবহার বন্ধ করে দিন।

বিশ্বের সেরা নাইট ক্রিম

নাইট ক্রিম নির্বাচনে আমরা সবসময় সেরাটা পেতে চাই। আমার মা বোনেরা যারা ত্বকের প্রতি একটু বেশি যত্নবান, তারা সর্বদা চেষ্টা করেন সেরা নাইট ক্রিম ব্যবহার করার জন্য। নাইট ক্রিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেরা হওয়া টা অত্যন্ত জরুরী কারণ, এই নাইট ক্রিম আমাদের ত্বককে সজীব, উজ্জল, কোমল, রিংকেল, ইত্যাদি যাবতীয় সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চলুন, বিশ্বের কিছু সেরা নাইট ক্রিম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বিশ্বের সেরা নাইট ক্রিম World's Best Night Cream
ওলে রিজেনারিস্ট রেটিনল২৪ নাইট ময়েশ্চারাইজার Olay Regenerist Retinol24 Night Moisturizer
নো৭ ফিউচার রিনিউ ড্যামেজ রিভার্সাল নাইট ক্রিম No7 Future Renew Damage Reversal Night Cream
অ্যাভন এ নিউ আলটিমেট মাল্টি-পারফরমেন্স নাইট ক্রিম Avon Anew Ultimate Multi-Performance Night Cream
রক রেটিনল কোরেক্সন ম্যাক্স ডেইলি হাইড্রেশন অ্যান্টি-এজিং ক্রিম Roc Retinol Correxion Max Daily Hydration Anti-Aging Creme
ক্ল্যারিন্স এক্সট্রা-ফার্মিং নাইট ক্রিম Clarins Extra-Firming Night Cream
ডিওর ক্যাপচার টোটালে ইনটেনসিভ রিস্টোরেটিভ নাইট ক্রিম Dior Capture Totale Intensive Restorative Night Crème
আলফা-রেট ওভারনাইট ক্রিম AlphaRet Overnight Cream
মেরি কেয় টাইমওয়াইজ নাইটটাইম রিকভারি Mary Kay TimeWise Nighttime Recovery
রিভিশন স্কিনকেয়ার ডি.ই.জে. নাইট ফেস ক্রিম Revision Skincare D.E.J. Night Face Cream
অরিজিনস ড্রিংক আপ ইনটেনসিভ হাইড্রেটিং মাস্ক Origins Drink Up Intensive Hydrating Mask
ফিলোসফি অ্যান্টি-রিঙ্কল মিরাকল ওয়ার্কার+ লাইন-করেক্টিং ওভারনাইট ক্রিম Philosophy Anti-Wrinkle Miracle Worker+ Line-Correcting Overnight Cream
নো৭ প্রোটেক্ট অ্যান্ড পারফেক্ট ইনটেনস অ্যাডভান্সড নাইট ক্রিম No7 Protect & Perfect Intense Advanced Night Cream
কডালি রেসভারাট্রোল লিফট ফার্মিং নাইট ময়েশ্চারাইজার Caudalie Resveratrol Lift Firming Night Moisturizer
আলজেনিস্ট জিনিয়াস স্লিপিং কলাজেন Algenist Genius Sleeping Collagen

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম

আজকাল আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অহরহ ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম এবং ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম এ ধরনের বাক্য শুনতে পাবেন। কিন্তু আসলেই কি কোন ক্রিম আমাদের স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে পারে? চলুন বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য কিছু গবেষণামূলক তথ্য পর্যালোচনা করি। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন ক্রিম আপনাকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে সক্ষম নয়। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য ছোট্ট একটি পদক্ষেপ নিন।

মেয়েদের-তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-ভালো-নাইট-ক্রিম
আপনি বাজার থেকে একটি ফর্সা হওয়ার ক্রিম কিনে নিয়ে আসুন, এবং কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন। ফলাফল হিসেবে ত্বকের কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পাবেন। পরবর্তীতে আপনি যখন ক্রিমের ব্যবহার বন্ধ করে দিবেন তখন আপনার ত্বক পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা বিভিন্ন পুরুষ এবং নারীদের উপর গবেষণা চালান। গবেষকরা গবেষণার স্বার্থে ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিভিন্ন নারী পুরুষের উপরে ব্যবহার করেন।
গবেষণাটি যেসব নারী পুরুষের উপর করা হয় পরবর্তীতে ২০১৫-২০১৬ সাল পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন চর্মরোগ ক্লিনিকে দেখা যায়। শুধুমাত্র যারা হালকা ক্রিম ব্যবহার করেছিল ফলাফল হিসেবে তাদের ত্বকে মেলাসমা এবং প্রদাহের সৃষ্টি হয়। যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই দোকান অথবা ফার্মেসি থেকে ক্রিম কিনে ব্যবহার করেছিল তাদের ফলাফল ছিল আরো খারাপ। সন্তুষ্টির হার ছিল ২৬.৫% মানুষ বর্তমানে সিরিঞ্জ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইন্ট্রাভেনাস থেরাপি (IV) ড্রিপ ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে ত্বক ফর্সা করা যায়।

ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন ক্রিম আপনাকে সমসাময়িক আনন্দ দিবে। কিন্তু এর ক্ষতি আপনাকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। সেজন্য লোকাল মার্কেটগুলোতে যে সমস্ত প্রোডাক্ট পাওয়া যায় সেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করলে তা আপনার ত্বকের জন্য মোটেও লাভজনক হবে না। সেজন্য আশেপাশের লোকের কথায় কান না দিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটিবার ভেবে দেখবেন। (উৎসঃ সময় নিউজ)

ব্যক্তিগত মতবাদঃ মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম

মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম আশা করি আমার এই আর্টিকেলের দ্বারা কিছুটা হলেও আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। বিভিন্ন প্রলাভনকারী বিজ্ঞাপন এবং কম দাম দেখে তাড়াহুড়ো করে যেকোন প্রোডাক্ট কিনা থেকে সতর্ক থাকুন। এতে উপকারের চাইতে ক্ষতির সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকে।
কারণ এই ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন আমার পরিবারও হয়েছে। মেয়েদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন নাইট ক্রিম ভালো এ ধরনের কথা লিখে আমি গুগলে সার্চ দিয়েছিলাম। বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়ে ভাবলাম একটু অর্ডার দিবো। যেই কথা সেই কাজ আর দেরি করলাম না, অবশেষে অর্ডার দিয়েই দিলাম। কেনার আগে আমার উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার, সত্য মিথ্যা যাচাই করার। যদিও ক্রিমটি আমার নিজের জন্য ছিল না। পরিবারের একজন সদস্যর জন্য কিনেছিলাম।

যাইহোক, সেদিকে আর যাচ্ছি না। আমার মা-বোন এবং বাকি লোকদের জন্য বলতে চাই বর্তমান যুগে বিশ্বাসের বড্ড অভাব। সেজন্য লোভনীয় কিছু দেখলেই বিশ্বাস করে বসবেন না। সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তা ভাবনা করুন। আমি চেষ্টা করি আপনাদের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য তথ্য প্রদান করতে। যদি কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকি ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। পোস্টটি শেয়ার করুন, নিজে সতর্ক থাকুন এবং অন্যদেরকেও সতর্ক করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url