মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানা আমাদের প্রত্যেকের জন্য অত্যান্ত জরুরী। বিজ্ঞানের চমৎকার একটি আবিষ্কার হল মোবাইল ফোন। বর্তমানে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি।
বর্তমান গবেষণা থেকে জানা যায়, মোবাইল ফোনের উপকারী যেমন দিক রয়েছে তেমনিভাবে
এর এমন কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক রকমের প্রভাব
ফেলে। চলুন, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া
যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে সোশ্যাল মিডিয়ায়
প্রতিনিয়ত আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ
এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। বর্তমানে বাচ্চা থেকে শুরু করে সকল স্তরের
মানুষের হাতে স্মার্টফোন। তবে এই মোবাইল ফোন চালানোর সময় আমরা এমন কিছু ভুল করি
যার প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্যর উপরে পড়ে। তাহলে এখন আপনি কি করবেন? কিভাবে
বাঁচবেন এর ক্ষতিকর দিক থেকে আসুন, আলোচনা করি।
- মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় অবশ্যই আপনাকে সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সময় যদি বেশি অতিবাহিত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইত্যাদি অ্যাপসগুলোতে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন। আপনি যদি ১ ঘন্টা সময় সীমা নির্ধারণ করেন তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর অটোমেটিক সেই অ্যাপস লক হয়ে যাবে। আপনি যদি অ্যাপেল ইউজার হোন সেক্ষেত্রে স্ক্রিন টাইম ( IOS) এবং অ্যান্ড্রয়েড ইউজার হয়ে থাকলে ডিজিটাল ওয়েলবিং অথবা বিল্ট ইন ফিচার ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন।
- মোবাইল ফোন একটানা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় আমরা যে ভুলটি সবচেয়ে বেশি করি তা হলো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা। ফোনে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে আপনার চোখের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, মোবাইল দেখলে কি চোখের ক্ষতি হয়? জি হ্যাঁ, আপনার চোখের রেটিনা শুকিয়ে যেতে পারে।
- চোখের ক্ষতি এড়াতে মোবাইল ফোন সঠিকভাবে ব্যবহার করুনঃ মোবাইল ব্যবহারের জন্য চশমা হিসেবে বিশেষ করে ব্লু লাইট ব্লকিং চশমা অত্যান্ত কার্যকরী। আমি নিজেই মোবাইল ব্যবহারের জন্য চশমা হিসেবে ব্লু লাইট ব্লকিং চশমা ব্যবহার করি। তাছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় চেষ্টা করবেন ১৬-১৮ ইঞ্চি দূরে রাখতে। এতে করে আপনার চোখ ভালো থাকবে। আপনি চেষ্টা করবেন ফোনের ব্রাইটনেসকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখতে। দিনের বেলায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্রাইটনেস বেশি রাখতে পারেন এবং রাতে কম রাখুন। ব্রাইটনেস এর বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে পরিবেশের উপর। আপনি কোন পরিবেশে অবস্থান করছেন।
- ইয়ারফোন ব্যবহার করুনঃ আপনি যখন শুয়ে অথবা বসে থেকে মোবাইল ফোনে কোন কিছু শুনবেন সেক্ষেত্রে ফোনটি মাথার কাছাকাছি ধরবেন না। এতে করে মোবাইলের রেডিয়েশন থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকবেন। মনে প্রশ্ন আসতে পারে মোবাইল রেডিয়েশন কি? এটি এমন একটি অদৃশ্য তরঙ্গ যা আপনার মোবাইলের ট্রান্সমিটিং ডিভাইস থেকে নির্গত হয়। চেষ্টা করবেন স্পিকার মোড অথবা ইয়ার ফোন ব্যবহার করার।
- ক্ষতি এড়াতে কলের পরিবর্তে টেক্সট করুনঃ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি অথবা অফিসে যাবার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন পকেটের পরিবর্তে ব্যাগে রাখুন। আমরা অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলতে থাকি। চেষ্টা করবেন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কলের পরিবর্তে টেক্সট করার। এতে করে ফোনের রেডিয়েশন থেকে অনেকটা নিরাপদে থাকবেন।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় কম অবস্থান করুনঃ আমরা অনেক সময় বিনা প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো স্ক্রল করতে থাকি। আপনি কি জানেন অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে ডিপ্রেশনের সম্মুখীন হতে পারেন। সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে ফ্রি সময়গুলো নিজের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কাটানোর চেষ্টা করুন। আপনি কোন একটি কাজ মনোযোগ সহকারে করছেন হঠাৎ সে সময় ফোনের নোটিফিকেশন বেজে উঠল এবং সাথে সাথে আপনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে গেলো এরকম হলে কেমনটা লাগে বলুন তো? সেজন্য অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন।
- রাতে ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুনঃ রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। কারণ ডিভাইস থেকে নির্গত ব্লু লাইট আমাদের শরীরে অবস্থিত মেলাটোলিন হরমোন উৎপাদনে বাধা দেয়। যার কারণে আমাদের ঘুম ঠিক মতো পরিপূর্ণ হয় না। ব্লু লাইটের ক্ষতি এড়াতে নাইট মোড অথবা ডার্ক নাইট ব্যবহার করুন। ফোনের ব্যাপারে যদি আপনার দুর্বলতা থাকে সেক্ষেত্রে পাশের রুমে রেখে আসতে পারেন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক
আমাদের দিনের শুরুটা হয় মোবাইল ফোনের অ্যালার্ম দিয়ে। দিনশেষে যখন আমরা ঘুমাতে
যাই তখন ও মোবাইল ফোন হয়ে ওঠে নিত্যদিনের সঙ্গী। মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে আমাদের
অবসর সময় কাটানোর সেরা একটি মাধ্যম। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে মাঝেমধ্যে আমরা
ভুলে যাই প্রত্যেকটি জিনিসের ভালো দিকের সাথে সাথে খারাপ দিক ও রয়েছে।অতিরিক্ত
মোবাইল ফোন ব্যবহারে কি হতে পারে? চলুন, একনজরে এর ক্ষতিকর পাঁচটি দিক সম্পর্কে
জেনে নেওয়া যাক।
- আপনার চোখের জ্যোতি কমে যেতে পারে
- কানে শোনার ক্ষমতা কমে যায়
- শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যেতে পারে
- ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- আপনার শরীরের অস্থি এবং সন্ধিগুলোর ক্ষতি হতে পারে
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের পথ চলাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে আপনি এমন অনেক ডিভাইস পেয়ে যাবেন যার মাধ্যমে কঠিন কাজগুলো অত্যান্ত সহজ ভাবে করা সম্ভব। সেই সমস্ত ডিভাইসের মধ্যে একটি হল মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এমন অনেক কাজ আছে যা অতি অল্প সময়ে করা যায়। তবে আপনি কি জানেন? এই ডিভাইস গুলোর যেমন ভালো দিক আছে তেমনিভাবে খারাপ দিকও আছে।
প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তা আমাদের দিন দিন অলস বানিয়ে দিচ্ছে।
আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই ক্ষতির সবচেয়ে বেশি সম্মুখীন
হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে দারুন ভূমিকা
রাখে তা যেমন সত্য তেমনিভাবে এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী নানা ধরণের
অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ফ্রী ফায়ার, পাবজি, কল অফ
ডিউটি ইত্যাদি গেমগুলোতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
এই আসক্তির কারণে তারা ঠিকমতো পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। এতে করে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহামারী আকারে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে তা হল পর্ন। আপনি শুনলে অবাক হবেন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৬২.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। হতে পারে সেইসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে আপনার সন্তান একজন। চলুন, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের কিছু অপকারিতা তুলে ধরা যাক।
- পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি একজন শিক্ষার্থীকে সমাজ থেকে আলাদা করে দেয়
- হতাশা, বিষন্নতা, মানসিক চাপ, বিনা কারণে রাগ ইত্যাদি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে সাইবার বুলিংয়ের (অপমান, বিভিন্ন ধরনের হুমকি, হয়রানির শিকার, বিরক্তিকর বাজে মন্তব্য) শিকার হচ্ছে
- বিভিন্ন ধরনের আসক্তিকর গেম এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- চিন্তাভাবনা, শিখতে পারা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, ইত্যাদি বিষয়গুলোতে পিছিয়ে পড়া
- আপত্তিকর (পর্নোগ্রাফি, অপরাধমূলক ভিডিও) অনেক বিষয়গুলোতে মনের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের শারীরিক প্রভাব
পুরো পৃথিবীতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ কোটি। কিন্তু এর
অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনার শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তার মধ্যে
অন্যতম একটি সমস্যা হলো ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা
গেছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্ক, দৃষ্টিশক্তি এবং শিশুদের
বিকাশে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আপনি জানলে অবাক হবেন এই মোবাইল ফোন
ব্যবহারের ফলে মানুষ ধীরে ধীরে বার্ধক্যর দিকে উপনীত হচ্ছে।
বিভিন্ন গবেষণাগুলো থেকে জানা যায় অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে ঘাড়,
কাঁধ, কনুই এবং হাতের পেশিতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। ৩০০ জন শিক্ষার্থীর ওপর একটি
গবেষণা করা হয়। যাদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১৮-৩০ বছর। এই গবেষণার ফলাফলে দেখা
যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৩% শিক্ষার্থী ঘাড়ের ব্যথা, ৪২.৯% শিক্ষার্থী কাঁধের
ব্যথা এবং ২৭.৯% শিক্ষার্থী কুনই এর ব্যথায় ভুগছেন। তাছাড়া গবেষণা থেকে আরও
জানা যায় ৬৯.২ % শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনে আসক্ত। (উৎসঃ
প্রথম আলো)
সারারাত জেগে মোবাইল চালালে যে ধরনের ক্ষতি হয়
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ চলছে। এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে
মানুষ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই এর ব্যবহার
সঠিকভাবে না করার কারণে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির
গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার হলো মোবাইল ফোন। আমাদের অনেক ভাই বোনেরা আছেন যারা
সোশ্যাল মিডিয়ায় সারারাত পার করে দেন। আপনি কি জানেন? এতে আপনার কি ক্ষতি হতে
পারে, চলুন জেনে নেই।
- দিনের বেলায় কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন না
- সারাদিন বিষন্নতা এবং ক্লান্তিভাব মনে হবে
- কেউ ভালো কথা বললেও মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকবে
- আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেড়ে যায়
মোবাইল ফোনে আসক্ত হওয়ার মূল কারণ
বর্তমানে বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সকলেই মোবাইল ফোনে আসক্ত।
যা মহামারী আকারে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে মাঝে মধ্যে হয়তো আপনার মনে
প্রশ্ন আসতে পারে, এই আসক্তির কারণটা কি? বিশেষজ্ঞদের মতে আমরা যখন নতুন তথ্য বা
ভালো কোন সংবাদ শুনতে পাই তখন ডোপামিন নামক হরমোন আমাদের মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই
ডোপামিন আমাদের আনন্দের অনুভূতি দেয়।
মোবাইল ফোনে অ্যাডিক্টেড একজন ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ার যাবতীয় বিষয় থেকে শুরু
করে নতুন আপডেট না পাওয়া পর্যন্ত তার মন অস্থিরতায় ভোগে। এমন অবস্থায় আপনার
মোবাইল ফোন যদি আপনার হাতে চলে আসে তাহলে আপনি আনন্দ অনুভব করেন। মোবাইল ফোনে
আসক্ত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। আনন্দ লাভের অনুভূতি
আমাদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়, এবং এক সময় আপনি এতে পুরোপুরি আসক্ত
হয়ে পড়েন।
ব্যক্তিগত মতামতঃ মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আশা করি আমার এই আর্টিকেলের দ্বারা কিছুটা হলেও আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই জীবনের প্রতিটি সময় আপনার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময়গুলোকে অবহেলায় নষ্ট করবেন না। আপনার একটি ভুল পদক্ষেপ হতে পারে সারা জীবনের কান্না। তাই শিক্ষার্থী ভাই বোনেরা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বেঁচে থাকুন।
আজকের আর্টিকেল আলোচনা করার প্রধান কারণ হলো আমি নিজেও এক সময় এর মায়াজালে আটকে
ছিলাম। তাই আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যদি জীবনকে সুন্দর এবং আনন্দময় করতে
চান তাহলে বিনা প্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। আর্টিকেলটি ভালো লাগেলে
শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আপনার সুস্থ এবং সুন্দর জীবনের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url