কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়
কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায় কথাটা শুনতে খুব চমৎকার লাগছে তাই না। বর্তমানে আপনি অনলাইনে টাকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস পাবেন। এ সমস্ত অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে বিনা টাকায় ইনকাম করা যায়।
আপনি কি একজন শিক্ষার্থী অথবা পার্ট টাইম কাজ খুঁজতেছেন তাহলে এই অ্যাপসগুলো হতে
পারে আপনার জন্য অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার সেরা একটি মাধ্যম। মোবাইল এপস দিয়ে
টাকা ইনকাম করতে আপনি কি প্রস্তুত? আসুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়
- কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়
- Meesho এবং Toluna অ্যাপ দিয়ে টাকা রোজগারের সহজ উপায়
- Amazon MTurk এবংHoneygain এর মাধ্যমে আয় করার পদ্ধতি
- মোবাইল দিয়ে ঘরে বসেমেয়েদের আয় করার উপায়
- কিভাবে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে ৩০ হাজার টাকা আয়করবেন
- মোবাইল দিয়ে প্রিন্ট অন ডিমান্ড(POD) কিভাবে শুরু করবেন
- বিনিয়োগ ছাড়াই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি
- মোবাইল দিয়ে অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের উপায়
- ব্যক্তিগত মতামতঃ কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়
কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়
কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায় সে সম্পর্কে
জানতে আমরা প্রত্যেকেই আগ্রহী। অবস্থানের দিক দিয়ে আমরা সবাই এক
না। সেজন্য বিনা টাকায় ইনকাম আমাদের অনেকের কাছে স্বপ্নের মত। এই
অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন টাস্ক সম্পূর্ণ করে, বিভিন্ন কার্যকলাপে অংশ নিয়ে
আপনি বিনা টাকায় অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপসগুলোতে আপনি আকর্ষণীয়
কিছু সুবিধা পাবেন।
এই অ্যাপসগুলো বর্তমানে সকল স্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
অ্যাপসগুলো আপনি যেকোনো সময় এবং যেকোন স্থানে বসে ব্যবহার করতে পারবেন।
তাছাড়া এই অ্যাপসগুলো যেকোনো বয়সের মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমান
ইন্টারনেটে আপনি অনেক ধরনের অ্যাপস পেয়ে যাবেন অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে। কিন্তু
আজ সেই অ্যাপসগুলোর উপর ফোকাস করব যেগুলো বিশ্বস্ত এবং
গ্রহণযোগ্য। আসুন, অনলাইনে টাকা আয় করার অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
-
Swagbucks: বহুমুখী অর্থ উপার্জনের জন্য স্বাগবাক্স খুব জনপ্রিয় একটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট। এই
প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ৫০০ মিলিয়নের বেশি
পুরস্কার ব্যবহারকারীরা উপার্জন করেছে। এখানে আপনি গেম খেলে,বিভিন্ন
রকম সার্ভে সম্পন্ন করে,ভিডিও দেখে এবং আপনি যদি শপিং লাভার হয়ে থাকেন
তাহলে কেনাকাটার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। স্বাগবাক্স এ আপনার অর্জিত পয়েন্ট দিয়ে গিফট কার্ড নিতে
পারবেন।আপনার পয়েন্টের পরিমাণ যদি খুব কম হয় সেক্ষেত্রে পুরস্কার বা
টাকা তুলতে কোন সমস্যা নেই। এই অ্যাপে আপনি নিয়মিত অফার এবং বোনাস
পাবেন। আপনার অর্জিত সম্পদ পেপালের (Paypel) মাধ্যমে খুব সহজেই তুলতে
পারবেন।
-
BitDegree: আপনাদের মধ্যে যদি কেউ প্রযুক্তি,ব্লকচেইন,ওয়েব৩,ও
প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হতে চান বিটডিগ্রী হতে পারে আপনার জন্য অনলাইন
শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি সরাসরি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।
আপনি এখানে ইন্টারেক্টিভ কোর্স (যার মানে হলো পড়ার পাশাপাশি আপনাকে কাজ
ও করতে হবে) বা মিশন সম্পূর্ণ করে ক্রিপ্টো রিওয়ার্ড (আপনি যখন
কোর্স বা মিশন পুরোপুরি শেষ করবেন তখন বিটডিগ্রী প্ল্যাটফর্ম
আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন পুরস্কার হিসেবে প্রদান
করা হবে) NFTs (মালিকানা বা প্রমাণপত্র) ব্লকচেইন (তথ্য বা ডাটা রেকর্ড
করা হয়) ভিত্তিক সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবেন। এই সার্টিফিকেট
আপনার দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করবে। এই
ওয়েবসাইটে স্কলারশিপ এর পাশাপাশি ফি কোর্সের সুবিধা পাবেন।
-
Pocket Money: আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হোন তাহলে এই অ্যাপটি
আপনার জন্য। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার হাতে যদি ফাঁকা সময় থাকে
পকেট মানি অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন। অ্যাপটি খুব সহজ কাজের নির্দেশ দিয়ে থাকে। যেমন আপনাকে বলবে
অ্যাপ ডাউনলোড করতে, বিভিন্ন রকমের সার্ভে সম্পন্ন করতে এবং ভিডিও
দেখতে। এ সমস্ত টাস্ক সম্পূর্ণ করে আপনি খুব সহজেই অর্থ ইনকাম করতে
পারবেন।
-
Foap: যারা ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য অনলাইনে
অর্থ উপার্জন করার একটি সেরা মাধ্যম হচ্ছে ফোপ। আপনার তোলাকৃত ছবিগুলো বড় বড় কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে
বিক্রি করতে পারবেন। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার ছবি মার্কেটিং অথবা
বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে। কোন এক সময় আপনার মনে
হয়তো এ ধরনের প্রশ্ন এসেছে কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা
যাবে। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব আপনি সহজে ইনকাম করার জন্য ফটোগ্রাফিকে
বেছে নিতে পারেন। সেজন্য আপনার কাছে একটি ক্যামেরা অথবা ভালো
ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোন থাকতে হবে।
-
TaskBucks: এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে অনলাইন
থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।এই অ্যাপে কাজ করতে আপনাকে কোন রকম
কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে না। আপনাকে খুব সহজ কাজ করার নির্দেশ দেওয়া
হবে। যেমন অ্যাপ ডাউনলোড করা, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা, রেফার করা
ইত্যাদি।
- Roposo: এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ভালো এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করে ভিডিও শেয়ারিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। সবার প্রথমে আপনি একটি ভাল এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করুন। তারপর রোপোসো প্ল্যাটফর্মে আপলোড করুন। ভিডিওগুলো শেয়ার করুন, যাতে করে আপনার ভালো ফলোয়ার তৈরি হয়,যারা আপনার ভিডিও গুলো নিয়মিত দেখবে। এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
Meesho এবং Toluna অ্যাপ দিয়ে টাকা রোজগারের সহজ উপায়
- Meesho: মিশো একটি রিসেলিং অ্যাপ। মিশোতে আপনি কোন একটি পণ্য কিনে সেটা নিজের কাছে না রেখে সাথে সাথেই বিক্রি করে দিতে পারবেন। আপনি প্রথমে মিশোতে অবস্থিত পণ্যগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করবেন। যদি কোন ব্যক্তি সেই পণ্য কিনতে চাই তাহলে মিশোতে গিয়ে অর্ডার করবেন। মিশো থেকে ডেলিভারি ম্যান এসে আপনার কাঙ্খিত পণ্যটি পৌঁছে দিবে। পণ্যের দাম আপনি নিজেই নির্ধারণ করতে পারবেন। লাভ হিসেবে যেটা থাকবে সেটা হবে আপনার আয়।
- Toluna: এটি এমন একটি সার্ভে অ্যাপ, যেখানে আপনার মতামত দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে, যা উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়। টুলুনা অ্যাপে আপনার নিজস্ব মতামত দিতে পারবেন। কিছু ক্ষেত্রে আপনি ফ্রিতে নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে আপনার ব্যক্তিগত মতামত উপস্থাপন করতে পারবেন। সার্ভেগুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি টাকা বা গিফট কার্ড পাবেন।
Amazon MTurk এবং Honeygain এর মাধ্যমে আয় করার পদ্ধতি
- Amazon MTurk: এটি এমন একটি মাইক্রোটাস্ক মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি ট্রানস্ক্রিপশন, ডাটা এন্ট্রি, কনটেন্ট মডারেশন ইত্যাদি ছোট ছোট কাজগুলো করতে পারবেন। এখানে আপনি হাজার ধরনের কাজ পাবেন যার মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনি আপনার দক্ষতা এবং সময় অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারবেন। টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনি ব্যাংক, ডিপোজিট এবং গিফট কার্ডের ব্যবহার করতে পারবেন।
- Honeygain: এটি এমন একটি অ্যাপ যেখানে অপ্রচলিত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই সেটাআপ দিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এই অ্যাপটি আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। এই অ্যাপটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য কেউ পড়তে বা ব্যবহার করতে পারবে না। তাই এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত।
মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার উপায়
বর্তমান যুগে ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। মা-বোনেরা আপনাদের অবসর
সময়কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। এমন অনেক মা বোন
আছেন যাদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঘর থেকে তেমন একটা বাহিরে বের হওয়ার
সুযোগ থাকে না। তাই বলে এটা ভাববেন না সব রাস্তা বন্ধ। যদি উপায়গুলো
সঠিকভাবে জানেন এবং সেটার উপর ভিত্তি করে দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে ঘরে বসে
আয় করা কোন ব্যাপারই না। চলুন,উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- ড্রপ শিপিংঃ অনলাইনে আয় করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ড্রপ শিপিং। ড্রপ শিপিং এ আপনাকে কোনরকম টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। সেজন্য অনলাইনে ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইট খুলতে হবে। এরপর Shopify,Spocket,AliExpress ইত্যাদি ই কমার্স এবং ওয়েবসাইটগুলোর যে সমস্ত পণ্যগুলো ভালো সেগুলোর বিজ্ঞাপন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শো করাতে হবে। এরপর কোন একজন কাস্টমার পণ্য অর্ডার করলে আপনি ই-কমার্স থেকে সেই পণ্যটি অর্ডার করে কাস্টমারকে দিয়ে দিবেন। এভাবে ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
- ই-বুকঃ অনেক মা-বোনেরা আছেন যারা খুব ভালো করে পড়াশোনা করে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছেন। কিন্তু কোন একটি কারণে হয়তোবা চাকরি করার সুযোগ হয়নি। তাই বলে যে আপনি পারবেন না বা আপনার দ্বারা হবে না এমন চিন্তা করাটা বোকামি। আপনি যদি লিখালিখিতে ভালো পারদর্শী হন তাহলে এই ই-বুক তৈরি করে সেটা পাবলিশ করে খুব সহজে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি বাংলায় লিখে ই-বুক প্রকাশ করতে চান তাহলে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেমন রকমারি,বইটই ইত্যাদি।
- রান্নাঃ আপনি যদি রান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এটি হতে পারে ঘরে বসে আয়ের একটি দারুণ উপায়। সেজন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রান্না সম্পর্কিত একটি পেজ ক্রিয়েট করতে হবে। এরপর আপনি পেজে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ছবি পোস্ট করুন। তাছাড়া ফেসবুক মার্কেটপ্লেস অথবা বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে আপনার খাবারের প্রচার প্রচারণা করুন। সব সময় চেষ্টা করবেন খাবারটি যেন সুস্বাদু এবং মানসম্মত হয়। এতে করে মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার খাবারে চাহিদা বাড়বে যা ঘরে বসে আয়ের দুর্দান্ত একটি উৎস হতে পারে।
- ব্লগিংঃ আপনি যদি লিখালিখিতে দক্ষ হন তাহলে ব্লগিং ওয়েবসাইট আয়ের একটি সেরা মাধ্যম হতে পারে। সেজন্য প্রথমে আপনাকে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আপনি কোন বিষয়ের উপর কনটেন্ট লিখতে চান সেটি নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করবেন সত্য,নির্ভরযোগ্য,এবং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করার। এতে করে খুব সহজেই গুগল থেকে এডসেন্স নিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- অনলাইন শিক্ষকতাঃ শিক্ষকতা পেশা অনেক সম্মানের। আপনি যদি কোন একটি বিষয় দক্ষ হোন তাহলে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে শিক্ষকতা করার জন্য আপনি অনেক ধরনের প্লাটফর্ম পেয়ে যাবেন। উল্লেখযোগ্য কিছু প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Chegg,Preply,Tutor.com,Cambly,Skool ইত্যাদি।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে ৩০ হাজার টাকা আয় করবেন
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বিশেষ করে ইনকামের এই যাত্রা পথ। বর্তমানে এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে যেখানে আপনি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সেজন্য দরকার সঠিক দিকনির্দেশনা,যার মাধ্যমে আপনার এই পথযাত্রা আরো সহজ হয়ে উঠবে। কিভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা করার জন্য সময় পান না।
আপনার কাজ হল এগুলোকে পরিচালনা করা এবং সঠিকভাবে বৃদ্ধি করা। তবে সোশ্যাল
মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে
কপিরাইটিং, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি
বিষয়গুলোতে পারদর্শী হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করার জন্য
আপনি অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। যেমনঃ
- YouTube
- Udemy
- Coursera
- HubSpot Academy
- Meta Blueprint
প্রথম অবস্থায় আপনি ছোট ব্যবসায়ীদের হয়ে কাজ করবেন। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং ভালো একটি প্লাটফর্ম তৈরি হবে। এভাবে লেগে থাকলে ভবিষ্যতে বড় বড় ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলস হিসাবে আপনি Hootsuite,Buffer,Sprout Social ব্যবহার করতে পারেন। এই টুলসগুলো আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কে আরো সহজ করে দিবে।
মোবাইল দিয়ে প্রিন্ট অন ডিমান্ড(POD) কিভাবে শুরু করবেন
বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো প্রিন্ট অন
ডিমান্ড।আপনাদের মধ্যে যারা কোন রকম বিনিয়োগ ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে
চান তাদের জন্য প্রিন্ট অন ডিমান্ড হতে পারে চমৎকার একটি উৎস। এই ব্যবসাতে
রিস্ক খুবই কম এবং স্টক রাখার কোন প্রয়োজন পড়ে না। প্রিন্ট অন ডিমান্ড
এর মাধ্যম কাস্টমারের চাহিদা বা পছন্দ অনুযায়ী টি শার্ট, মগ, ফোনের কভার
ইত্যাদি প্রিন্ট করা হয়।
প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর জন্য নির্দিষ্ট কোন কোর্স করতে হয় না। কিন্তু এখানে
একটা বিষয় আছে, আপনাকে কিছু বেসিক বিষয় অবশ্যই জানতে হবে। তা না হলে কাজ করতে
গিয়ে হয়তো আপনি সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। আপনাকে ন্যূনতম যে বিষয়গুলোর উপর
জ্ঞান রাখতে হবে যেমন ডিজাইনের ক্ষেত্রে মোটামুটি পারদর্শী হতে হবে, মার্কেটিং
এবং সেলসের বিষয়গুলো ভালো করে বুঝতে হবে।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত টুলসগুলো
ব্যবহার করা হয় তার সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে
হবে ফ্রিতে কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব না।সেজন্য দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি আপনাকে
অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। আসল কথায় আসা যাক, বর্তমানে আপনি ডিজাইন
সম্পর্কিত অনেক ধরনের ডিজিটাল সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন যার মাধ্যমে খুব সহজে
গ্রাহকের অর্ডার সম্পন্ন করতে পারবেন। যেমনঃ
- Canva
- Adobe Illustrator
- CoreIDRAW
- Inkscape
প্রিন্ট অন ডিমান্ড শুরু করতে Shopify,Printful,Redbubble,Spocket
ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনাকে স্টোর খুলতে হবে। আপনি যেসব ডিজাইন করবেন
সেটা প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে হবে। এরপর কোন গ্রাহক অর্ডার
দিলে ওয়েবসাইটগুলো প্রিন্ট করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিবে। আপনার ডিজাইন
এবং মার্কেটিং কৌশল যদি সঠিক হয় তাহলে মাসে আপনি ৩০০০০ হাজার ১০০০০০ লক্ষ টাকা
ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
বিনিয়োগ ছাড়াই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি
বাংলাদেশে অনলাইনে আয় করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ভার্চুয়াল
অ্যাসিস্ট্যান্ট। সহজ ভাবে বলতে গেলে একজন ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা তার
ব্যক্তিগত কাজের জন্য কাউকে হায়ার করলে তাকে ভার্চুয়াল
অ্যাসিস্ট্যান্ট বলা হয়। এই কাজের জন্য আপনাকে অফিসে যেতে হবে না। আপনি
ঘরে বসে খুব সহজেই কাজটি করতে পারবেন। এই কাজটি কেমন হবে তা নির্ভর করবে
ক্লায়েন্টের প্রয়োজনের উপর। যেমনঃ
কাজের ধরণ | জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম |
---|---|
ইমেল পরিচালনা | Upwork |
ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং এর জন্য সময় নির্ধারণ করা | Fiverr |
বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট সুন্দর এবং সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে রাখা | Freelancer |
ডাটা এন্ট্রি | Remote.co |
কাস্টমার সাপোর্ট | PeoplePerHour |
বুক কিপিং | Bela |
মোবাইল দিয়ে অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের উপায়
কোন একটি ভিডিও বা অডিও ফাইলকে লিখিত আকারে রূপান্তর করাকে অনলাইন
ট্রান্সক্রিপশন বলে। এই কাজের জন্য আপনার মধ্যে কিছু গুণাবলী থাকতে হবে। তার
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আপনাকে ইংরেজি অথবা বাংলা ভাষায় দক্ষ হতে হবে,ভালো
শোনার ক্ষমতা থাকতে হবে এবং টাইপিং স্পিড ভালো হতে হবে তাহলে হতে পারে
ট্রান্সক্রিপশন আপনার জন্য আয়ের একটি সেরা মাধ্যম। কিছু জনপ্রিয়
ট্রান্সক্রিপশন ওয়েবসাইট যেমনঃ
- Rev
- TranscribeMe
- GoTranscript
- Scribie
- Speechpad
ব্যক্তিগত মতামতঃ কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়
কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায় আশা করি আমার এই আর্টিকেলের দ্বারা আপনি কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। আমি যে সমস্ত অ্যাপস বা সাইটগুলোর কথা উল্লেখ করেছি, আমার রিচার্জ অনুযায়ী সেগুলো বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য।আপনার সময় এবং দক্ষতা অনুযায়ী একটি কাজ বেছে নিতে পারেন। কিভাবে মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায় কথাটি শুনতে খুব অসাধারণ লাগছে তাইনা?এই অসাধারণ কথাটিকে যদি বাস্তব রূপ দিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। ফ্রিতে টাকা ইনকাম করুন এ ধরনের বাক্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অহরহ দেখতে পাবেন। কিন্তু আমার ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু কথা, ফ্রিতে কোন কিছু সম্ভব না। আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোন একটি কাজে পারদর্শী হতে হবে। মোবাইল দিয়েই আপনি এই কাজগুলো করতে পারবেন কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
আপনার কাজটিকে সহজ এবং আরামদায়কভাবে করতে চাইলে ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপের কোন বিকল্প নেই। আজকের এই আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত অবশ্যই জানাবেন। আশা করি, মোবাইলে বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জনের যাত্রাটি উপভোগ করবেন।
সব বাজ ব্লগিং ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url